অনুমোদনহীন মেরীল্যান্ড সিটির প্রতারনা

অনুমোদনহীন মেরীল্যান্ড সিটির প্রতারনা

অনুমোদনহীন মেরীল্যান্ড সিটির প্রতারনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কোম্পানীর অনুমোদন ছাড়াই চলছে বানিজ্যিক কার্যক্রম। একজনের জমির উপরে আরেকজনের কোম্পানীর প্লট। বুকিং দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। অথচ জমির প্রকৃত মালিক এর কিছুই জানে না। আবার রাজধাণীর ভিআইপি এলাকায় বিলাশবহুল অফিস খুলে প্লট বিক্রির রমরমা ব্যবসা করলেও কোম্পানির নেই কোন রাষ্ট্রীয় অনুমোদন। শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স, লিফলেট আর নজরকাড়া বিলবোর্ডেই যত আকর্ষণ। যেন কলা দেখিয়ে মুলা বিক্রির মেলা। এসব দেখেও নিরব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তাব্যক্তিরা। তবে এসব নিরবতার পেছনেও রয়েছে ঘুষ লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকায় গড়ে উঠা মেরীল্যান্ড হোমস লিমিটেডের মেরীল্যান্ড রিভারভিউ সিটির বিরুদ্ধে উঠে এসেছে এমন ভয়ংকর প্রতারনা। কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমির উপরে মেরীল্যান্ড রিভারভিউ সিটির প্লটের ডিজাইন দেখানো হলেও কোম্পানীর নিজস্ব নামে জমি নেই কয়েক বিঘা। নিদিষ্ট পরিমানে জমির মালিকানা থাকলেই কেবল আবাসন কোম্পানীর অনুমোদন দেয় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এই অনুমোদন পাওয়ার জন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিকট করতে নিবন্ধন। আর চাহিবা মাত্রই পাওয়া নিবন্ধন সার্টিফিকেট অফিসে ঝুলিয়ে শুরু হয় প্রতারনার মহোৎসব।

মেরীল্যান্ড হোমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ন কবীর তালুকদার অন্তত ৩হাজার বিঘা জমির উপরে কোম্পানীর প্লট লে-আউট ডিজাইন বানিয়ে ফেসবুক ইউটিউবে প্রচার করছেন। যেখানে দু-চার বিঘা জমি বাদ দিলে বাকী সব জমিই অন্য মানুষের। আর ঐ সব জমির মালিকরা জানেই না হুমায়ন কবীরের মতো কোন একজন প্রতারক তাদের জমি উপরে প্লট বানিয়ে ঢাকায় বসে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেই সাথে খাল দখল, ডোবা-নালার মতো জলাশয় ও সরকারী খাস জমি দখলের একটা পর্ব তো আছেই।

যত বুকিং তত টাকা। প্লটে বুকিং দিতে পারলেই চলে আসে কারী কারী টাকা। এজন্য ফেসবুক ইউট্উিবে চলছে বাহারী বিজ্ঞাপন। আর ভাড়াটে জমিতে বসানো হয়ে বড় বড় সাইন বোর্ড।

মেরীল্যান্ড হোমস লিমিটেড আবাসন কোম্পানীটির কোন বৈধতা নেই। এই অবৈধ আবাসন কোম্পানীটির প্রতারনা মুলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও অনুমোদনকারী সংস্থা গুলো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের বিধান থাকলে তারা কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। এর মুল কারন হচ্ছে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, খুনি হাসিনার আমলে উপজেলা প্রশাসন যখন তাদেরকে নোটিশ করেছে তখন এই ভুমিদস্যু প্রতারকরা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। আবার ঘুষের হিস্যা কম হলেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কোম্পানীর সাইনবোর্ড ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই কোম্পানীগুলোকে বেশীভাগ শেল্টার দিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিগত সময়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে সাবেক এমপি মহিউদ্দিন ও কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মেরীল্যান্ড হোমস লিমিটেড এর প্রতারক হুমায়ন কবীরকে সবচেয়ে বেশী শেল্টার দিয়েছেন। জলাশয় ও সরকারী জমি দখলের সুযোগ দিয়ে বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সরকারী কর্মকর্তাদেরকে রেখে ছিলেন দৌড়ের উপরে।

মেরীল্যান্ড হোমস লিমিটেড এর যুগ্ন পরিচালক গিয়স উদ্দিন বলেন, তাদের কোম্পানী অবৈধ নয়। সব ধরনের পেপার তাদের আছে।