এফবিসিসিআইয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে হত্যা মামলার আসামী খুনী হাসিনার কথিতপুত্র মাফিয়া নিজাম

এফবিসিসিআইয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে হত্যা মামলার আসামী খুনী হাসিনার কথিতপুত্র মাফিয়া নিজাম

এফবিসিসিআইয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে হত্যা মামলার আসামী খুনী হাসিনার কথিতপুত্র
মাফিয়া নিজাম

মোঃ আসহানউল্লাহ হাসানঃ
জুলাই-২৪শে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে পুলিশ ও হাসিনা বাহিনীর গুলিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী খুনী হাসিনার কথিতপুত্র ইলেকট্রিক ব্যবসার মাফিয়া দ্যা গ্রেট মীর নিজামউদ্দিন আহম্মেদ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে প্রকাশ্যেই ঘুরাফেরা করছেন। যা রীতিমতো এক আতংকে পরিনত হয়েছে। সে গুম খুনের রানী হাসিনার সান্নিধ্যে থেকে নবাবপুরের ইলেকট্রিক অঙ্গণটাকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিম্মি করে বিগত ১৫ বছর প্রান্তিক ব্যবসায়ীদেরকে পথের ফকিরে পরিনত করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নিজাম তার গুরু দরবেশ এফ রহমানের হাত ধরে হাসিনার পদলেহন কুড়িয়েছিলেন। দরবেশের আশীর্বাদে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এখনো স্বপ্ন দেখছেন। প্যানেল নির্বাচন করবেন। এতে কত টাকা লাগবে, সমস্যা নেই, অনুসারীদের এমন ঘোষনাই দিয়ে রেখেছেন। এজন্য কাকে কেনা লাগবে তা নিয়েও লবিং করে যাচ্ছেন। হত্যা মামলার আসামি হয়েও এফবিসিসিআইয়ের মতো পরিবেশে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো তারই বহি:প্রকাশ। এফবিসিসিআইয়ের অঙ্গণে এতো এতো বিএনপি-জামাত নেতাদের ফাঁকে ফাঁকে হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন কায়েমে অর্থের যোগান দাতা নিজামের উপস্থিতি খুনী হাসিনা পতন আন্দোলনে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি হিসেবেই দেখছেন সাধারন ব্যবসায়ীরা। সরকার প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে, কেউ পরপর দুই বারের বেশী এফবিসিসিআইয়ের কোন পদে নির্বাচন করতে পারবে না। অথচ এই আদেশ ও এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য নিজাম তার অনুসারী মাসুমকে দ্বারা উচ্চ আদালতে ডজনের কাছাকাছি মামলাও করিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ৫আগষ্ট২০২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে খুনী হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে মোদির কাছে চলে য্য়া। খুনী হাসিনা ৩আগষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে গণভবনে মিটিং করে ছাত্র-জনতার আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশলীগ, গুন্ডালীগ, পান্ডালীগ থেকে শুরু কুত্তালীগ পর্যন্ত সবাইকে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রাজপথে থেকে ছাত্র-জনতার উপর হামলা করার নির্দেশ দেন। আর এরজন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেন নিজামের মতো ব্যবসায়ীরা। এসব ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ থেকে পুলিশের চাকুরীতে আসা কিলার বাহিনী সহ দলীয় গুন্ডা বাহিনীকে সেটিং করে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালানোর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। হাসিনার পতন না হলেও এই ব্যবসায়ীরা যত টাকা খরচ করেছে এখন তারচেয়ে শত গুণ বেশী লুটপাটের সুযোগ পেতো।

খুনী হাসিনার আশীর্বাদে এসব ব্যবসায়ীরা যত টাকা লুটপাট করেছে, হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে তার একাংশ খরচ করে গণহত্যাও চালিয়েছে। নিজামের মতো ব্যবসায়ীদের একজনকেও খুজে পাওয়া যাবে না, যারা ৫ আগষ্টের আগে জনতা তথা দেশের স্বার্থে হাসিনার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিলো। অথচ এই নিজামদেরই নেতা ‘মরার পরে কবর থেকে উঠে এসে হাসিনাকে সাপোর্ট করার ওয়াদা করেছিলো’। ঐ মিটিংয়ে দরবেশের সাথে নিজামও ছিলো। মোট কথা নিজাম যে, সাইফুল ইসলাম হত্যাকান্ড সহ গণ আন্দোলন দমনে অর্থদাতা ছিলেন, তার সত্যতা প্রমান করার জন্য আইনস্টাইন হওয়া লাগবে না। শুধু নিজামের ব্যাংক একাউন্ট গুলোর স্টেটমেন্ট ও মোবাইলের কললিষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেই যথেষ্ট।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এফবিসিসিআইয়ের এক বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী নেতা এবিষয়ে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সাইফুলের মামলায় কে জড়িত, কে নিরপরাধ তা নির্ধারন করবে আদালত। শেখ হাসিনা, শেখ ফজলে ফাহিম, দরবেশ এফ রহমানের সহযোগিরা কিভাবে প্রকাশ্যে এসে ক্ষমতার চেয়ারে বসতে চায়। সুচতুর নিজাম গত ১৫ বছরে দরবেশ এফ রহমানকে গুরু দাবী করে খুনী হাসিনার ভাগিনা এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম কব্জা করেন। ফাহিমের ফান্ডে কোটি কোটি টাকা ডোনেট করে খুণী হাসিনার সান্নিধ্য লাভ সহ এ্ফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদ বাগিয়ে নেন। আর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে নবাবপুরের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী অঙ্গণকে ধ্বংস করেন। একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের শীর্ষ পদ গুলোকে টাকা বিনিময়ে দখল করেন। হাসিনা ফ্যাসিজমের শীর্ষ সহযোগিদের একজন কে এই নিজাম? বিস্তরিত আসছে পরের পর্বে ।