চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় মুছা বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ!
চট্টগ্রাম নগরের পূর্ব বাকলিয়া কালামিয়া বাজার এলাকার শত শত সাধারণ মানুষ মুছা বাহিনীর প্রধান মুছা ও তার গ্রুপের ডাকত ওসমানের অত্যাচার, নির্যাতন, চাঁদাবাজ ও চোখ রাঙানিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট পর সরকার পট পরিবর্তনের ফলে আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে মুছা বাহিনীর প্রধান (প্যাকেজ)মুছা।
সন্ত্রাসী মুছা নগরীর পূর্ব বাকলিয়ার কালামিয়া বাজার মৃত ইব্রাহীমের পুত্র ও যুব দলের সাবেক সদস্য সচিব। যুব দল নেতা পরিচয় দিয়ে দেদারসে চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে। কিছু দিন পূর্বে মুছা বাহিনীর ১৬ জন ডাকাত কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাইটে ডাকাতি করতে গিয়ে তার বাহিনীর ৬ জন৷৷ গ্রেফতার হন।বাকলিয়া থানা পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে মুছার সংপৃক্ততা পেয়েছে বলে জানান। যা কয়েকটি অনলাইল টিভিতে প্রচারিত হয় ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৫ই আগস্টের পর প্যাকেজ মুছার ভাগ্যের চাকা ও ক্ষমতার দাপট বেড়ে যায়। ধরা কে সরা জ্ঞান করে মুছা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। পারে না এমন কোন কাজ নেই।এমন কি তারা আইনকে তোয়াক্কা না করে হরহামেশাই ভুমি দখলসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না বলে নীরবে সব অপকর্ম এলাকাবাসী সহ্য করে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মুছা প্রকাশ প্যাকেজ মুছা বাহিনীর প্রধান মুছার ক্ষমতার দাপটের প্রধান শক্তি হিসাবে চসিক মেয়র ডা শাহাদাত হোসেনের নাম ব্যবহার করে। হঠাৎ হয়ে ওঠে মুছা বাহিনীর প্রধান মুছা এলাকার ত্রাস ও ক্ষমতার গডফাদার। দিন যতই বাড়তে থাকে ততই মুছা হয়ে ওঠে আধিপত্য বিস্তারে এক মহা অপরাধ সম্রাজ্যের রাজা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাকলিয়া এলাকার কল্পলোক আবাসিক এলাকা বাকলিয়া, চান্দগাঁও সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় টার্গেট করে ধনঢ্য ব্যক্তি, আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী। তার চোখ পারলে কেউ আর রেহাই নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুছা বাহিনীর মুছা দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে হঠাৎ করে হয়ে ওঠে একাধিক গাড়ি, বাড়ির মালিক। তথ্য সূত্রে জানা যায়, মুছার দুটি গাড়ি ও পূর্ব বাকলিয়ায় দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক স্হানীয় জনসাধারণ বলেন, মুছা বাহিনীর প্রধান মুছা ও তার সেকেন্ডইন কমান্ড আন্তজেলা ডাকাত ওসমানের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না বলে জানান তারা। এছাড়াও চসিক মেয়রের পরিচয় ও নাম ভাঙিয়ে দাপট দেখানোর ফলে পুলিশও কোন ভূমিকা পালন করছে না বলে স্হানীয়রা অভিযোগ করেন। নগরের বাকলিয়া, চান্দগাঁও, চকবাজার ও কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা থাকার পরও পুলিশের সামনেই ঘুরাফেরা করছে অবাধে এসব অপরাধীরা তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে স্হানীয় বাসিন্দারা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্হানীয় একজন একাধিক সূত্র জানায়, মুছা বাহিনীর অন্যতম সহযোগী আন্ত:জেলা ডাকাত ওসমানের রয়েছে একাধিক মামলা।
ডাকাত ওসমানের বাকলিয়া থানা মামলা নং ১৫০,বাকলিয়া মামলা নং ৩৭২, কোতোয়ালী এফআইআর নং ০৫/৩৪০, ফেনি থানা এফআইআর নং ৫/৬০২ অস্ত্র মামলা,ফেনী সদর থানা এফআইআর নং ৬/৬০২, কোতোয়ালী এফআইআর নং ৩৫/৩০১,মোলভী বাজার শ্রীমঙ্গল থানা এফআইআর নং ১২, বাকলিয়া থানা এফআইআর নং ৩ ও বাকলিয়া থানা এফআইআর নং ৩১ মামলাসহ অসংখ্যা মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করছে। এছাড়া মুছা বাহিনীর সহযোগি রৌশনগীর আমিন প্রকাশ সন্ত্রাসী আমিন, মোরশেদ, শাহীন ডাকাতসহ শতাধিক চিহ্নিত সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা গেলে পুরো বাকলিয়া ও কল্পলোক আবাসিক এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে এবং সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে বলে এলাকাবাসীর দাবী করে বলেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মুছা বাহিনীর প্রধান মুছা ও ওসমান বাকলিয়া থানার ২২/২০২৫ মামলার তালিকাভুক্ত আসামি হওয়ার পরও পুলিশ তাদের আটক না করায় স্হানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্হানীয় বাসিন্দারা চান দ্রুত মুছা বাহিনীর প্রধান প্যাকেজ মুছা ও ওসমান সহ চিহ্নিত সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে এলাকায় শান্তি ফিরে আনার।