চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামল কামরুল ইসলাম রিমান্ডে

চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামল কামরুল ইসলাম রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কামরাঙ্গীরচর থানার চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ।

এরপর মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তা কামারাঙ্গীরচর থানার এসআই জাহিদ হাসান ও পলাশ চন্দ্র দাস তার ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে তারপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন জামিনের আবেদন নাকচ করে দুই মামলায় দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, বাদী সগির আহমেদ সুজনের বাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন কামরুল ইসলাম। সগির আহমেদ এক জনের মাধ্যমে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। চাঁদা দাবির বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় কামরুলের নির্দেশে মামলার অপর আসামিরা গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর তার বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সগির আহমেদ গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

এছাড়া কামরুলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলী আহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কামরাঙ্গীরচর থানাকে আদেশ দেন।

More News...

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে অসন্তুষ্ট বিএনপি

লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া