আগামী ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) জ্বালানি আমদানির প্রিমিয়ামে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আমিন উল আহসান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড নিয়মের চেয়ে আমাদের জিটুজি পদ্ধতিতে প্রিমিয়াম প্রাইজ বেশি ছিল। জ্বালানি তেল সরবরাহকারীদের সঙ্গে আমরা নেগোশিয়েশন করে প্রিমিয়াম কমিয়ে এনেছি। প্রত্যেক আইটেমেই প্রিমিয়াম কমেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার বিপিসির লিয়াজোঁ অফিসে ‘দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় বিপিসির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। এ সময় বিপিসির সচিব শাহিনা সুলতানা, বিপিসির পরিচালক (বিপণন) কবীর মাহমুদ, পরিচালক (অপারেশন ও পরিচালন) অনুপম বড়ুয়া, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব) এটিএম সেলিমসহ বিপিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রতিযোগিতামূলক ক্রয়াদেশ প্রদান এবং আলোচনার মাধ্যমে প্রিমিয়াম খরচ অনেকটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। গত জুলাই-ডিসেম্বরে প্রিমিয়াম খরচ ৮ দশমিক ৮৩ ডলারের নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আগে জিটুজি ভিত্তিতে আনা জ্বালানি তেলে ১২ দশমিক ০৩ ডলার এবং দরপত্রের মাধ্যমে আনা তেলে ৯ দশমিক ৩২ ডলার পরিশোধ করা হতো। প্রিমিয়াম খরচ কমে যাওয়ায় বিদায়ি জুলাই-ডিসেম্বর মাসেও বিপুল পরিমাণ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এভাবে আমরা তেলের দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি আমরা তেল সরবরাহকারী কোম্পানির বকেয়া শূন্যে নামিয়ে এনেছি।
তিনি বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স দেওয়ার পর ডিজেলে লিটার প্রতি ১ দশমিক ৬৬ টাকা মুনাফা করছে। দাম কিছুটা কমানোর সুযোগ রয়েছে। ভারতের সঙ্গে এখনও আমাদের জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে ২২ থেকে ২৫ টাকার মতো কম আছে। সাধারণত দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি তেলের দরের পার্থক্য বেশি হলে পাচারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এ ছাড়া দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্যও একটি কৌশল প্রয়োগ করা হয়। হঠাৎ বেড়ে গেলে যাতে ভোক্তার ওপর বড় চাপ না পড়ে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইন চালু হলে প্রিমিয়াম খরচ আরও কমে আসবে। পাইপলাইনটি চালু হলে সাগরে আসা বড় জাহাজ থেকে ডিজেল সরাসরি নারায়ণগঞ্জ ডিপোতে চলে আসবে। প্রকল্পটি জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।