পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরীফ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী শহরের কাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জামায়াত নেতারা জানান, রাত ১০টার দিকে কাজীপাড়ায় অবস্থিত জেলা জামায়াতের অস্থায়ী কার্যালয়ের মধ্যে বসা ছিলেন কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সুজন
অ্যাডভোকেট মিজান মাস্টার, অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন সহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক মোটরসাইকেল করে আসেন। এরপর জামায়াতের কার্যালয়ের নিচে দাড়িয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে এবং অকথ্যভাষার গালিগালাজ ও হামলার হুমকি দিতে থাকেন। এসময় ভেতরে থাকে জামায়াত কর্মীরা মোবাইল ফোনে নেতৃবৃন্দকে জানালে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। ততক্ষণ সটকে পরেন অভিযুক্তরা।
পরে কার্যালয়ে সামনে থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের সবুজবাগ ও ঝাউতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের অবস্থিত এডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিনের অফিস লক্ষ্য করে এগুলো সোনালী ব্যাংক মোড়ে এসে আটকে দেয় জেলা জামায়াতের আমির এডভোকেট নাজমুল আহসান। তিনি বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের গতিরোধ করে দাড়ান। পরে সেখানেই সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সোহাগ, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল বাশার, ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাশার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সাইদুর রহমান খান পাবেল।
এব্যাপারে জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট নাজমুল আহসান বলেন, ‘হঠাৎ করেই আমার কাছে ফোন আসে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিন সহ কয়েকজন লোক গালিগালাজ করছেন এবং হামলার হুমকি দিচ্ছেন। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা ছুটে গেলে পালিয়ে যায় তারা। এরপরে আমাদের বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে হামলায় নেতৃত্বদানকারী এডভোকেট সালাউদ্দিনের চেম্বারের দিকে আগালে, আমি সোনালী ব্যাংকের মোড়ে তাদেরকে থামিয়ে নিয়ে আসি। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের করতে গেলে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা করে তারা। আমাদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সহ তিন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র উত্তোলনই করতে দেয়নি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিন জানান, আমরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে কাজী পাড়া হয়ে মটোর সাইকেলে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে থামছিলাম। জামায়াত কার্যালয়ে হামলা করতে যাব কেন? প্রশ্নই আসেনা হামলা চেষ্টার।”
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের উপর হামলা করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাঁধা দেন বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। পরে এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে জামায়াতের ল’ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ১১ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার জেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারী সহ ১১ জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা দায়ের করেন বিএনপি পন্থী আইনজীবী ফোরাম।