জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাংবাদিকরাও সহযোদ্ধা

জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাংবাদিকরাও সহযোদ্ধা

জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাংবাদিকরাও সহযোদ্ধা

অদ্য ০৬ আগস্ট, ২০২৫ রোজ বুধবার, বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় ২২/১, তোপখানা রোড বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ-বাশিকপ (কনফারেন্স রুম) মিলনায়তনে Global Journalists Council in Bangladesh Foundation এর উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ তোশারফ আলী, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জনজোট পার্টির চেয়ারম্যান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মুজাম্মেল মিয়াজী, অধ্যাপক ড. এ আর খান ও প্রফেসর ড. শরীফ সাকী। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল জার্নালিস্টস কাউন্সিল ইন বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সঞ্চালনা করেন মোঃ জাকির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও মহাসচিব, গ্লোবাল জার্নালিস্টস কাউন্সিল ইন বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। এবং উক্ত অনুষ্ঠানের ব্যস্থাপনায় ছিলেন গ্লোবাল জার্নালিস্টস কাউন্সিল ইন বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান।

উক্ত ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ তোশারফ আলী বলেন- আত্মদানই যথেষ্ট নয়, আন্দোলন গতিদান করতে হবে এবং একটি সঠিক ও পরিচ্ছন্ন ধারণার মধ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন- সাংবাদিকরা যে আমাদের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে তাদের নামও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ইতিহাসে লিখে রাখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও জুলাই সনদ নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. এ আর খান বলেন, বাংলাদেশের জুলাই ২৪ এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণমাধ্যম ব্রীজ তৈরী করেছে। গণমাধ্যমের অবদানই ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে বেঁচেছে। এ সম্পর্কে বিশেষ অতিথি ড. শরীফ সাকী বলেন, এখন বাংলাদেশেও ফ্যাসিস্টদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। আমাদেরকে ঐসব আচরন পরিত্যাগ করতে হবে। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ওমর ফারুক জালাল বলেন, যেহেতু সরকার বিপ্লবী কিংবা ডান্ডা মারা নয়, সেহেতু দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত রাখতে ভালোবাসার মাধ্যমে সুন্দর রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা জুলাই ২৪’র গণজাগরণের অংশীদার। কারণ, আমাদের গণমাধ্যমের ৬ সাংবাদিক নিহত ও ৬৭জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। যদিও ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় জানাতে ফ্যাসিবাদী গণমাধ্যমও কম দায়ী নয়। এছাড়াও মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করেছিলো; তাদেরকেও মূল্যায়ণ করতে হবে। উক্ত আলোচনা সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন- একেএম খোরশেদ আলম খান, এইচ এম জামাল উদ্দিন ও মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ।