ঢাকার নবাবগঞ্জের গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ
বসির আহামেদ: দোহার-নবাবগঞ্জ(প্রতিনিধি) ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আসলাম (৫২)। পরিষদের সদস্যরা তাকে বিশাল ক্ষমতাধর বলেই জানেন। তার দাপটে টঠস্থ থাকেন সবাই। তবে ক্ষমতার উৎস্য কেউ বলতে পারেননি। সম্প্রতি এমনি বলছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন সদস্য।তার সেই অজ্ঞাত ক্ষমতায় সরকারি রাস্তা নির্মান প্রকল্পের সভাপতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে তুলেছেন তার বাড়িতে। তবে পরিষদের সদস্যরা বলছেন,ক্ষমতার দাপটে সরকারি মালামাল চুরির করেছেন গ্রাম পুলিশ আসলাম।এলাকাবাসীর বরাতে জানা যায়, এর আগেও অনিয়মের অভিযোগে পরিষদ থেকে শাস্তি পেয়েছিলেন আসলাম। শুধু তিনি নন তার পরিবারের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানান অভিযোগ।গ্রাম পুলিশ আসলাম ওই ইউনিয়নের মিয়াহাটি গ্রামের বারেকের ছেলে। তিনি গালিমপুর ইউনয়ন পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ফান্ডের ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে রামনাথপুর মেইন রোড থেকে মোতালেব মেম্বারের বাড়ি হয়ে বড়গাঁও মেইন রোড পর্যন্ত ইট, বালু, সিমেন্ট ও খোয়া দ্বারা গ্রামীণ পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজ করা হয়।সেই রাস্তার কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন গ্রাম পুলিশ আসলাম। রাস্তার কাজ শেষে বেশ কিছু ইট, বালু ও খোয়া বেশি হয়। পরে পরিষদের কাউকে না জানিয়ে মালামাল গুলো গ্রাম পুলিশ আসলাম চুরি করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা।স্থানীয়রা জানায়, প্রথমে গ্রাম পুলিশ আসলাম মালামাল চুরি কথা অস্বীকার করে। পরে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দফাদার মো. মিরাজ হোসেন ও গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেনকে চুরির মালামাল উদ্ধারে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে নানা কৌশলে আসলাম নিজেই তার মুখ থেকে এ মালামাল চুরির কথা স্বীকার করেন। পরে নিজ খরচে গাড়ি ভাড়া দিয়ে চুর।