মো: আহসানউল্লাহ হাসানঃ
দেশের ডাইল চোর, দেশের গম, দেশের চাউল চোর, দেশের টাকা চোর..কুত্তার বাচ্চা..ফুটফুটে..। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তরুন কণ্ঠশিল্পী ফকির সাহেবের এই গানের কথা গুলো দেশের টাকা চোর কুত্তার বাচ্চা পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীরের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। মুস্তাসির রহমান তার ফেসবুক কমেন্টে লিখেছেন বেনজীর আহমেদ আইজিপি ছিলেন না, ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী। উনি যেখানেই থাকুক না কেন চোরের মতই থাকতে হবে, মানুষের মত না! পৃথিবীর সেরা মুনাফিক। পৃথিবী জানে বাংলাদেশের আইন এবং আদালত সম্পর্কে। তার টাকার উৎস ছিল গুম এন্ড খুনের বিনিময়। সাধারন মানুষের এমন অসাধারন চিন্তা গুলো বলছে, চোরের রানী ফ্যাসিস্ট হাসিনার ক্ষমতার মসনদ ঠিক রাখতে বেনজীর ক্রসফায়ারের হাজারো মায়ের বুক খালি করে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের হিমালয়।
খুনী হাসিনার শ্বৈরাচারী শাসনকালেই দুর্ভাগ্যবশত সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে মহাচোর বেনজীরের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের ফিরিস্তি। কিন্তু চোরের রানী হাসিনা তার এই প্রধান সেনাপতির বিচার তো করেই নাই বরং তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পূর্নাঙ্গ সহযোগিতা করেছে। হাসিনার সহযোগিতায় বেনজীর দেশের কয়েক হাজার কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার সহ দেশেও গড়ে তোলেন এক বিলাশী সাম্রাজ্য। হাসিনার পতনের আগে বেনজীরকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হলেও ৫আগষ্ট-২০২৪ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে চোরের রানী ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের পর দেশের মানুষ নতুন আশার আলো দেখেছে, এবার অন্তত চোরের বিচার হবে।
কিন্তু হাসিনার ফ্যাসিজম, গুম, খুন,নির্যাতন, লুটপাট সহ ভারতীয় ষড়যন্ত্রে দেশের অস্থিরতা, অন্তর্বতীকালীন সরকারে আওয়ামী দোসরদের কুটকৌশল ও রাজনৈতিক দলগুলোর আওয়ামী প্রেম অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিব্রত করে আসছে। যেকারনে বেনজীরের মতো খুনী হাসিনার চোরলীগের সদস্যরা ধীরে ধীরে পর্দ্দার আড়ালে চলে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেনজীরের নজিরবিহীন যে সম্পদের হিসেব পাওয়া গেছে তাতে বর্তমান বাজার মুল্যে হিসেব করলে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তবে তিনি যেহেতু স্পেনে সেকেন্ড হোম, তুরস্কে নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন তাহলে সেখানে কি পরিমান টাকা পাচার করেছেন তা অনুমান করাই মুশকিল। খুণী হাসিনার পিয়নের কাছেই যেহেতু ৪শ কোটি টাকা, তাহলে পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে বেনজীর চুরি করেছে ৪হাজার কোটি টাকা। শোনা যাচ্ছে বেনজীর তার চুরির টাকার বেশীর ভাগই ইন্ডিয়া,দুবাই, স্পেন, তুরস্কে পাচার করেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় আবাসন খাতে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছে দুদক। বেনজীরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলেই টাকা পাচারের সমস্ত প্রমান বেরিয়ে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বেনজীর ডিএমপি কমিশনার থেকে শুরু করে র্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিপি পদে থেকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলী বানিজ্য, মামলা বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, চাঁদাবাজি ও বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে এসব টাকা চুরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় জমি-বাড়ী-গাড়ী ক্রয়, রিসোর্ট স্থাপন, ব্যাংক, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহ দেশের বাইরে পাচার করেন। সুত্র জানায়, পুলিশের একজন কন্সটেবল নিয়োগে ১০/১২ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করতেন, ডিএমপির ভেতরে একজন ওসিকে এক থানা থেকে অন্য থানায় পোষ্টিং দিতে ঘুষ নিতে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা, বড় বড় মামলা ধামাচাপা দিতেন কোটি টাকায়, যেমন বসুন্ধরার মাফিয়া আনভীর কর্তৃক মুনিয়া হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে ৫০কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে গুণজন রয়েছে। পুলিশের ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস পত্র কেনাকাটা, সংস্কার, মেরামত ও নির্মান কাজের টেন্ডারের বরাদ্দকৃত টাকা কাজ না করেই চুরি করে নিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় ও সোর্স-আনসার-কন্সটেবল-সহকারী সাব ইন্সপেক্টর-সাব ইন্সপেক্টর ও ওসির মাধ্যমে প্রতিটি থানায় সিন্ডিকেট বানিয়ে গ্রেপ্তার বানিজ্যের মাধ্যমে বেপরোয় ঘুষ আদায় করে তার সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। কেউ প্রতিবাদ করলেই চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে দিতেন বা পুলিশের বাইরের কেউ হলে জেল খাটানোর ভয় দেখাতেন নতুবা ক্রসফায়ারে হত্যা করতেন। বেনজীর ছিলেন এক ভয়ংকর দানব। খুনী হাসিনাকে খুশি করতে এবং টাকার জন্য তিনি সব কিছুই করতেন। মানুষের জীবনের কোন মুল্যই তার কাছে ছিলো না।
উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সব অঞ্চলেই পাওয়া গেছে বেনজীরের সম্পদের বিবরন। দেশজুড়ে যেন তাঁর বাপ-দাদার জমিদারি। নিজের, স্ত্রী-সন্তান, স্বজনদের নামে-বেনামে কিনেছেন অন্তত হাজার একর জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, খামার বাড়ী, রিসোর্ট ও ইকোপার্ক। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও তাঁর অঢেল সম্পদ তথ্য উঠে এসেছে। বেনজীর সংবাদ মাধ্যমে নজির স্থাপন করলে দন্তহীন দুর্নীতি দমন কমিশনও অনুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নামেন। দুদকের অনুসন্ধানে ১৯৩টি দলিলের জমি, গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোক এবং বিভিন্ন ব্যাংকে ৩৩টি হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ১৯টি প্রতিষ্ঠানে তাঁদের নামে থাকা শেয়ার, ৩টি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেয় আদালত। তবে বেনজীর সপরিবার দেশ ছাড়ার আগে ওই ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে অন্তত ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে নেয়। বেনজীর আহমেদ ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিএমপির কমিশনার ছিলেন। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি নিযুক্ত হন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান।
রাজধানীতে পাঁচ ফ্ল্যাট, দুই বাড়ি: রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বসুন্ধরায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের পরিবারের পাঁচটি ফ্ল্যাট এবং উত্তরা ও ভাটারায় সাততলা দুটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুদক। এগুলোর মধ্যে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের মোট আয়তন ৯ হাজার ১৯২ বর্গফুট। এসব ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম কমপক্ষে ৭৫ কোটি টাকা। গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক (জব্দ) করার নির্দেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। পাঁচ তারকা হোটেলে মেয়েদের শেয়ার: বেনজীরের দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচ তারকা হোটেল লো মেরিডিয়েনের দুই লাখ শেয়ার রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে বেস্ট হোল্ডিংসের দুই লাখ শেয়ার দুই মেয়ের জন্য কেনা হয়। ওই সময় তিনি র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।
গোপালগঞ্জে রিসোর্ট, চাষের জমি: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোলা গ্রামে ১ হাজার ৪০০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। সেখানে আছে কৃত্রিম পাহাড়, সাগরের কৃত্রিম ঢেউ খেলানো সুইমিংপুল, একাধিক পুকুর, কৃত্রিম ঝরনা, বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স কটেজ, বিশাল কনসার্ট হল। অভিযোগ রয়েছে, এই রিসোর্টের জন্য সংখ্যালঘুদের জমি দখল করা হয়েছে। গোপালগঞ্জে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ৩০০ বিঘা চাষের জমি রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র বলেছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব জমি কেনা হয়।
মাদারীপুরে স্ত্রীর নামে জমি: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাতপাড় গ্রামে ডুমুরিয়া মৌজায় বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মির্জার নামে বিভিন্ন দলিলে মোট ২৭৩ বিঘা জমি রয়েছে। বেনজীর চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার আগেই এসব জমি কেনা হয়। এসব জমির রেজিস্ট্রি মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ১০কোটি ২১লাখ টাকা। ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৬ আগস্টের মধ্যে এসব জমি কেনা হয় বলে জানা যায়।
গাজীপুরের রিসোর্টে শেয়ার: গাজীপুর সদর উপজেলায় পাঁচ তারকা হোটেলের সুবিধা থাকা আধুনিক ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারে বেনজীরের ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বলে শোনা যায়। স্থানীয় লোকজন বলছেন, কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আইজিপি থাকাকালে তিনি এসব শেয়ারের মালিক হয়েছেন। ১৫০ বিঘা জমির ওপর এই রিসোর্ট আম্বার গ্রুপের। অভিযোগ রয়েছে, এই রিসোর্ট বন বিভাগের ৩ দশমিক ৬৮ একর জমি দখল করেছে। দুদকের সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বেতুয়ারটেক গ্রামে বেনজীর, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে অন্তত ৫০ বিঘা জমির তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এসব জমি কেনা হয়।
কিশোরগঞ্জে শত বিঘার খামার: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ধরেয়ার বাজার এলাকায় যৌথ মালিকানায় বেনজীর আহমেদের একটি খামার রয়েছে। এই খামারের জন্য নামে-বেনামে কয়েকশ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের বিতর্কিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর ভাই মানিক হাজি এই খামার দেখাশোনা করেন।
সাতক্ষীরায় ইটভাটা দখল শ্যালকেরঃ বেনজীর র্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে তাঁর দাপট দেখিয়ে শ্যালক মির্জা আনোয়ার পারভেজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ আলীপুর গ্রামে ৪৮ বিঘা জমির ওপর আশরাফুজ্জামান হাবলু নামের এক ব্যক্তির ইটভাটা দখল করেছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের শরাফপুর গ্রামে বেনজীরের শাশুড়ি লুৎফুন নেসার নামে শতাধিক বিঘার ওপর চারটি মাছের ঘের আছে। স্থানীয়রা জানায়, এগুলোতে বেনজীরই বিনিয়োগ করেছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে পোলট্রি খামার: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোজাবাড়ী এলাকায় অন্তত ৫০ বিঘা জমির ওপর নর্থ পোলট্রি খামারে বেনজীরের অংশীদারত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে যৌথ মালিকানা রয়েছে স্বাস্থ্য খাতের বিতর্কিত ঠিকাদার মিঠুর।
নীলফামারীতে পোলট্রি খামার ও কারখানা: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে ভিন্ন জগত পার্কসংলগ্ন এলাকায় নর্থ পোলট্রি খামার নামে একটি মুরগির খামার এবং মুরগির খাবার উৎপাদন কারখানার উদ্বোধনের সময়ও বেনজীর আহমেদ ও ঠিকাদার মিঠু উপস্থিত ছিলেন। এই খামার ও কারখানা অন্তত ৫০ বিঘা জমির ওপর। এখানেও তাঁদের যৌথ মালিকানা রয়েছে বলে শোনা যায়।
সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারে সৈকত ঘেঁষে জমি: অভিযোগ রয়েছে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় ১০ বছর আগে বেনজীর আহমেদ তাঁর নিজের নামে ৪ বিঘা বা ১ একর ৭৫ শতক জমি কেনেন। এ ছাড়া কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে কেনা হয়েছে ৭২ শতক জমি। এসব জমি কেনার সময় বেনজীর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন।
বান্দরবানে ২৫৭ বিঘা জমি: বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে ও লামা উপজেলায় বেনজীর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে কেনা অন্তত ২৫৭ বিঘা জমির সন্ধান পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে সুয়ালক ইউনিয়নে ৭৫ বিঘা এবং লামা উপজেলায় ১৮২ বিঘা জমি রয়েছে।
পাঁচ দেশে সম্পদের খোঁজ: বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিদেশে কোনো সম্পদ আছে কি না, সেই খোঁজ নিচ্ছে দুদক। বিদেশে তাঁর সম্পদ খুঁজতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুদক। দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ থাকতে পারে। মালয়েশিয়ায় আবাসন খাতে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছে দুদক।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ভয় দেখিয়ে, জোর করে জমি কিনে নেওয়ার যেসব অভিযোগ জানা যাচ্ছে, তা সত্যিই ভয়ংকর। বিবৃতিতে সাবেক পুলিশপ্রধানের অবৈধভাবে বিপুল অর্থ ও সম্পদ অর্জন এবং সেসব অর্জনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের যে চিত্র উঠে আসছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।