বিশেষ প্রতিবেদকঃ
একটুকরা জমি কিনে নিজের একটি বাড়ি করার স্বপ্ন প্রায় সবাই দেখেন। তবে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে অনেকেই সমন্বয় করতে পারেন না। আর দেশে জমি ও বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা নিয়ে জটিলতাও যেন এক চিরাচরিত বিষয়। এসব কারণে ঝামেলাবিহীন জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ঘিরে স্বপ্ন বোনেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। তিলে তিলে জমানো অর্থে চোখ বন্ধ করেই কিনতে পারেন নতুনধরা এসেটস এর একটি প্লট।
গ্রাহক চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজধানী ও এর চারপাশে একের পর এক নানা ধরনের আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠছে। দেশের অন্যান্য বড় শহরেও এখন আবাসন প্রকল্প রয়েছে। এ ধরনের প্রকল্পে প্লটের পাশাপাশি অ্যাপার্টমেন্ট ও ডুপ্লেক্স বাড়ি বিক্রি হয়। যাঁদের সাধ্য আছে, তাঁরা এককভাবে কেনেন। আর যাঁদের সামর্থ্য কম, তাঁরা কয়েকজন মিলে যৌথভাবে জমি কেনেন। এরপর সেখানে গড়ে তোলেন নিজেদের স্বপ্নের ঠিকানা, অর্থাৎ নিজের বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই বাড়ি। এ ক্ষেত্রে আবাসন প্রকল্প থেকে জমি কিনলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
সবচেয়ে বেশি আবাসন প্রকল্প দেখা যায় রাজধানীর পূর্বাচল, উত্তরা, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাগুলোয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আবাসন প্রকল্পের গণ্ডি ঢাকার আশপাশ ছাড়িয়ে গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ এসব পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও বিস্তৃত হয়েছে। এই জেলাগুলোয় এখন কয়েকশ বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প চলমান আছে।
এদের মধ্যে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলাধীন হাঁসাড়া এলাকায় সাড়ে তিন হাজার বিঘার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নতুনধরা অ্যাসেটস লিমিটেড। বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ধাপে দুই হাজার বিঘা জমির উন্নয়নকাজ চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে ২৪ শতাংশ প্লট বিক্রি শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রতি কাঠা জমির সর্বনিম্ন দাম ১১ লাখ টাকা।
মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলার মোট তিনটি ইউনিয়নজুড়ে বিস্তৃত এই আবাসন প্রকল্প। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্র এবং মূল্যবান ইআইএ অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রকল্প নতুনধরা, যা আবাসন খাতে সবচেয়ে কম সময়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে আস্থা ফেরাতে আপোষহীন ভুমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কর্তৃক ছাড়পত্র পেয়েছে নতুনধরা অ্যাসেটস লিমিটেড।
রিয়েল এস্টেট আইন-২০০৪ অনুযায়ী, জেলা প্রশাসন কর্তৃক দায়মুক্তি সনদপ্রাপ্তি নতুনধরা আবাসন প্রকল্পের শতভাগ স্বচ্ছতার স্বীকৃতি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিবেশগত অনাপত্তি সনদ ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রশংসাপত্র রয়েছে এই প্রকল্পের। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল অনুযায়ী, জমি কেনা এবং মিউটেশন করার অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্রেডমার্ককৃত প্রকল্প নতুনধরা।
‘নতুনধরা অ্যাসেটস লিমিটেড’ বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেজিস্টার্ড। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের একটি সদস্য প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক কর্মমান নির্ধারণী সংস্থা কর্তৃক আইএসও ৯০০১: ২০১৫ সার্টিফায়েড কোম্পানি এটি।
নতুনধরায় রয়েছে ৫ কাঠা ও ৩ কাঠার প্লট। এই প্রকল্পের প্রতিটি প্লট ‘প্রিমিয়াম প্লট’। সাদী-উজ-জামানের উদ্ভাবিত ও নাম রাখা বহু সুবিধাসংবলিত এই প্রিমিয়াম প্লটে থাকছে তিন দিকে খোলা জায়গা। দুটি প্রিমিয়াম প্লটের মালিকানায় গ্রাহকেরা চার দিক খোলা পাবেন এবং চারটি প্লটের মালিকানায় সর্বমোট পাঁচ দিক খোলা পাবেন।
স্পেশাল ফিচারের এই প্লট তিন দিকে খোলা থাকায় ফ্লোর এরিয়া রেশিওর নীতি অনুযায়ী, ডেভেলপকৃত বিল্ডিংয়ের প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন হবে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
নতুনধরা ইতিমধ্যে আনুমানিক ৫০০ প্লট প্রস্তুত করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা প্রায় শেষের পথে। আবাসন খাতে গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্লটের বিপরীতে মাত্র ৮০ শতাংশ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্লট রেজিস্ট্রি ও অবশিষ্ট ২০ ভাগ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দিচ্ছে নতুনধরা।
নতুনধরা আবাসন প্রকল্পে থাকছে মসজিদ, গোল্ডেন গার্ডেন, ওপেন থিয়েটার, লেক, খেলার মাঠ, বার্ডস পার্কসহ বহু নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। সাদী-উজ-জামান বিশ্বাস করেন, একটি পরিবেশবান্ধব ও সুপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পে সবার আগে দরকার সঠিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
তাই নতুনধরা আবাসন প্রকল্পে পুরোপুরি প্লট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই শুরু হয়েছে পাঁচ তারকা মানের ‘নতুনধরা এক্সপ্রেস লাউঞ্জ অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারের নির্মাণ কার্যক্রম, যা নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে অন্যতম এক বলিষ্ঠ প্রয়াস।
নতুনধরা অ্যাসেটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাদী-উজ-জামান বলেন, ‘গ্রাহকেরা এই প্রকল্পে নিষ্কণ্টক জমি পাবেন। প্রকল্পের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী বিষয় হচ্ছে প্রতিটি প্লটেই তিন দিকে উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে। সে হিসেবে আমাদের প্রতিটি প্লটই প্রিমিয়াম প্লট।’