নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের প্রায় তিন দিনপর শিহাব ( ৯) নামে এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার আমিরুল মোল্লার পরিত্যক্ত কারখানার আঙিনার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিহাব ওই এলাকার কৃষক আকাত উল্লাহ’র নাতি। তিনি পাবনা সদরের চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের রতন আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনমজুর রতনের তিন ছেলে শিহাব সংসারে অভাবে থাকায় নানাবাড়িতে থাকতেন। সেখানে কখনও ইটভাটা, কখনও বা গরুর রাখাল হিসেবে কাজ করত। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিহাব নানার পকেট থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে ২০০ টাকা খরচ করে। এনিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে তার মা ও নানা রাগারাগি করেন। এরপর শিহাব আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন শনিবার থেকে তাকে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
তারা আরও জানায়, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে চরসাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার আমিরুল মোল্লার পরিত্যক্ত কারখানার আঙিনায় খেলা করছিল কয়েকজন শিশু। পাশে কয়েকটি বালি ভরা বস্তা ছিল। এসময় শিশুরা পচা দুর্গন্ধ টের পেয়ে বস্তা টান দিয়ে মরদেহ দেখতে পান। পরে স্বজনরা নিশ্চিত করে এটি শিহাবের মরদেহ।
শিহাবের নানা আকাত উল্লাহ (৬৫) বলেন, গত বৃহস্পতিবার ৫০০ টাকার জন্য রাগারাগি করেছিলাম। সেজন্য শুক্রবার ওর মা ফের রাগ করেছিল। এরপর থেকে শিহাব নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। পরে বাতাসে গন্ধ ছড়ালে লাশ পাওয়া যায়।
শিহাবের বাবা রতন শেখ বলেন, অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল ছেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির তিন দিন পর বালুর বস্তার নিচ থেকে মরদেহ পাওয়া গেছে। কীভাবে মারা গেছে জানি না। তবে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, খবর পেয়ে বালুর বস্তার নিচ থেকে এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটি কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে জানা গেছে। আইনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।