পিরোজপুর এলজিইডির ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার করেছে দুদক
মোঃ শামীম হোসাইন
পিরোজপুরে এলজিইডি ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের দুর্নীতির ঘটনায় পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তাদের পিরোজপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—পিরোজপুর জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম পিরোজপুরে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮টি মামলা দায়ের করেন। বুধবার তাদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের একাধিক তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে দেখা যায়, কাজ সম্পূর্ণ না করেই ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করা হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ১ হাজার ১০১ কোটি টাকার প্রকল্পে হিসাব গরমিল পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে দুদক বিষয়টি অনুসন্ধান করে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা দায়ের করে। তদন্তে উঠে আসে, এলজিইডি ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় দুদক পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা থানা হাজতে রয়েছেন। আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুরের উপপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আমরা ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক আটটি মামলা করেছি। আসামিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর হবে।’