বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শুধাংসু কুমার সাহার সাময়িক কর্মচ্যুতির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শুধাংসু কুমার সাহার সাময়িক কর্মচ্যুতির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শুধাংসু কুমার সাহার সাময়িক কর্মচ্যুতির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি

বিশেষ প্রতিনিধি,

শুধাংসু কুমার সাহা ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (আইডি নং ১০৯০৫০৪১) হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করেন। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাসিন্দা এবং বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ায় পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হন।

দুঃশাসন ও হয়রানির ইতিহাস বদলি ও হয়রানি: দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের চাকরিকালে তাঁকে ১৬ বার বদলি করা হয়। যা নিয়মবহির্ভূত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতীয়মান।

বিভাগীয় মামলা ও হুমকি: ২০১৭-২০১৮ সালে তৎকালীন সচিব হেলালুদ্দিন আহম্মদের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়- যা পরবর্তীতে মামলার রায়ে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

হত্যার হুমকি: সম্প্রতি, ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে কুমিল্লায় অফিসে অবস্থানকালে অজ্ঞাতনামা ৪ জন ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেয় এবং চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ ঘটনার পরপরই তিনি কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় জিডি নং ১২৮০ দায়ের করেন।

অবৈধ বরখাস্ত ও বর্তমান অবস্থা:

২৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে কোনো কারণ ছাড়াই তাঁকে ঢাকায় বদলি করা হয় এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এটি তাঁর চাকরি জীবনের দ্বিতীয়বারের মতো বিনা কারণে বরখাস্তের ঘটনা। তিনি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৭(২) অনুযায়ী শুনানির আবেদন করেছেন এবং ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে জবাব দাখিল করেছেন।

কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত সংকট:

এদিকে মার্চ ২৫ ২০২৫তারিখে শুধাংসু কুমার সাহা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে নির্বাচন ভবন, প্লট নং ই-১৪/জেড, আগারগাঁও, ঢাকা ১২০৭ এ যোগদান করানো হয়। যেহেতু তিনি সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা হিসেবে পরিগণিত সেহেতু তিনি কিভাবে সিনিয়র সচিব মহোদয়ের অফিসে তাড়াহুড়া করে যোগদান করেন ও যোগদান পত্র গৃহীত করানো হয়। বিদ্যমান চাকুরীবিধি অনুযায়ী তা কি সম্ভব? অন্যদিকে এপ্রিল ৬, ২০২৫ তারিখে শুধাংসু কুমার সাহার বিরুদ্ধে নতুন করে বিভাগীয় মামলা-০৪/২০২৫ নোটিশ জারি করা হয়। উক্ত মামলার নোটিশে শুধাংসুর আত্মপক্ষ সমর্থনে শুনানীর তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে মে ৪, ২০২৫।

শুধাংসু কুমার সাহা একজন মেধাবী ও সৎ কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কোনো নেতিবাচক মন্তব্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অধিকন্তু, তিনি পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বর্তমানে দূর্মূল্যের বাজারে তাঁর পরিবারে আর্থিক ব্যয় মেটানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমাদের জোরালো দাবিগুলো নিম্নরূপ

১. শুধাংসু কুমার সাহার বরখাস্তের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাঁকে পুনর্বহাল করতে হবে।

২. তাঁর বিরুদ্ধে চলমান সকল হয়রানি ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তদন্ত করে দোষীদের বিচার করতে হবে।

৩. শুধাংসু কুমার সাহাকে বরখাস্তের আদেশ বিদ্যমান বিভাগীয় মামলার আত্মপক্ষের শুনানীর পূর্বেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। তবে তা অবশ্যই হতে হবে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী সেটাই কাম্য।

More News...

প্রকাশ্য ধূমপান অবৈধ শিশাবার ও মদের বার বন্ধে ঢাকায় মটর শোভাযাত্রা

অসাংবাদিক সুলভ আচরণে যখন একজন বিএনপিপন্থী ডিইউজে নেতা-রাশেদুল