স্পোর্টস ডেস্ক:
বছর ঘুরে গেলেও পাকিস্তানের ওয়ানডে একাদশে জায়গা হয়নি শাদাব খানের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই দলের বাইরে তারকা অলরাউন্ডার। কদিন আগে শাদাব এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঘরের মাঠে বসা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরতে চান। পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডও তার চেষ্টা ও ফর্মে খুশি। শুধু শাদাবই নন, পিসিবি তাদের ঘরের মাঠে বসা আসরে রাখতে চান ওপেনার ব্যাটার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামানকে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান দলে জায়গা পেতে পারেন তারা।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, শিরোপা ধরে রাখার মিশনে পাকিস্তান সর্বোচ্চ শক্তিশালী দল গঠন করতে চায়। তারা তাদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে চারজন ব্যাটার রাখতে যাচ্ছে। চার পেসারের সঙ্গে তিন স্পিনার নিয়ে সাজানো হবে বোলিং আক্রমণ। উইকেটরক্ষক হিসেবে একজনই থাকবেন।
কিপার হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের কথা ভেবে রেখেছে পিসিবি। চোটে না পড়া সাপেক্ষে আপাতত এই জায়গাটি এক প্রকার নিশ্চিত। তবে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না থাকা ফখরের সুযোগ পাওয়া নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকছে। একই ভাবে ২০২৩ সালের পর জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইমামকে নিয়েও শঙ্কা থাকছে। ৭২ ম্যাচে ৩১৩৮ রান করা ইমামকে রাখার ব্যাপারে ভাবছে পাকিস্তানের বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ানডে কাপে ৫৩ গড়ে চার ম্যাচে ২১২ রান করেছেন ইমাম। তখন থেকেই নজরে আছেন ইমাম। ওই টুর্নামেন্টে নতুন করে জাত চিনিয়েছেন শাদাব।
পুরো আসরে ১২০ রানের পাশাপাশি ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন শাদাব। পাকিস্তান তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। স্পিন আক্রমণে আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিমের সাথে সাদাবকে চাচ্ছে পিসিবি। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আরেক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টপ অর্ডারের ঘাটতি কাটাতে ফখর জামানকে দলে ভেড়াবে পাকিস্তান।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বসবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সূচি অনুযায়ী, আসর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৯ মার্চ অবধি চলবে। পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যুর পাশাপাশি দুবাইয়ে বসবে কয়েকটি ম্যাচ। হাইব্রিড মডেলে বসতে যাওয়া আসরটিতে অংশ নেবে আট দল। ভারতের সব ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। ৯ মার্চ ফাইনালের ভেন্যু লাহোর। তবে ভারত ফাইনালে উঠলে লাহোরের পরিবর্তে খেলা হবে দুবাইয়ে।