রংপুর অঞ্চলে সারের তীব্র সংকট, বিপাকে কৃষক

রংপুর অঞ্চলে সারের তীব্র সংকট, বিপাকে কৃষক
রংপুর অঞ্চলে সারের তীব্র সংকট, বিপাকে কৃষক দাম বেশি দিয়েও মিলছে না

রংপুর জেলা প্রতিনিধি:  

রংপুর জেলাসহ এ অঞ্চলের ৫ জেলায় সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ‘সারের কৃত্রিম সংকট’ তৈরি করছে রেখেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক।

কৃষকদের দাবি, দাম বেশি দিয়েও তারা সার পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে একশ্রেণির ব্যবসায়ী। প্রশাসন অভিযান চালালেও তা কোনো কাজে আসছে না। কারণ ব্যবসায়ীরা গুদাম কিংবা দোকানে সার না রেখে অন্যত্র রাখছেন। সেখান থেকে চড়া মূল্যে বিক্রি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষ হুমকির মুখে রয়েছে। সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ না করলে চাষাবাদ ব্যাহত হবে। এতে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

কৃষকরা বলছেন, এই সার যদি সঠিক সময়ে না পাওয়া যায় তাহলে কৃষিতে উৎপাদন ঘাটতি হবে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

তবে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন-বিএডিসির রংপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা যে পরিমাণ সার বরাদ্দ পেয়েছিলেন তাতে ঘাটতি নেই। ডিলার ও চাষি পর্যায়ে তারা সার সময়মতো সরবরাহ করেছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ইউরিয়া ৩০ হাজার ৩৯৪ মেট্রিক টন, টিএসপি ১০ হাজার ৮০৭ মেট্রিক টন, ডিএপি ৩১ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন, এমওপি ১৭ হাজার ৪৮৮ মেট্রিক টন সার সরবরাহ করা হয়েছে। এর আগের বছর (২০২৩) সালে এই সারের সরবরাহ ছিল প্রায় একই রকম।

তবে সারের বাজারের পরিস্থিতি হচ্ছে বস্তাপ্রতি দাম বেশি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ১ হাজার টাকা বেশি। তবুও পাচ্ছেন না সার এমনও অভিযোগ করেছেন অনেক কৃষক।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে বর্তমান ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি), ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি), মিউরেট অব পটাশ সারে (এমওপি) সারের চাহিদা অনেক। ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার কৃষকদের কিনতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ২০০ থেকে ১৭০০ টাকা বেশিতে। বর্তমানে টিএপির ৫০ কেজির বস্তা ২৮০০-৩০০০ টাকা, ডিএপি ১৩০০-১৩৫০ টাকা ও এমওপি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১২৫০ টাকায়। অথচ সরকার নির্ধারিত দাম অনুসারে যা বিক্রি হওয়ার কথা যথাক্রমে ১৩৫০ টাকা, ১০৫০ টাকা ও ১০০০ টাকায়।

More News...

৭১’ রে যুদ্ধ না করে কমান্ডার পরিচয়ে ভুমিদস্যুতার অভিযোগ

শোক সংবাদ: খুলনা মহানগর বিএনপি’নেতা জহর মীর আর নেই