লামিয়া-রাজের অবৈধ সম্পর্কে পিংকির জীবন ধ্বংস

লামিয়া-রাজের অবৈধ সম্পর্কে পিংকির জীবন ধ্বংস

লামিয়া-রাজের অবৈধ সম্পর্কে পিংকির জীবন ধ্বংস

স্টাফ রিপোর্টারঃ
লামিয়া-রাজের অবৈধ শাররিক সম্পর্কে রাজের স্ত্রী পিংকি আক্তারের সাংসারিক জীবন ধ্বংসে পরিনত হয়েছে। রাজ তার স্ত্রী পিংকি আক্তার সহ ছোট বাচ্চার ভরণপোষণ না দেয়ায় তাদেরকে চরম মানবেতর জীবন পাড় করতে হচ্ছে। প্রবাসে তাদের সহযোগিতা করার কেউ নেই। কিন্তু দুশ্চরিত্রা লামিয়া তার মায়ের পরামর্শে পিংকির স্বামী রাজকে পরকীয়া প্রেমের ফাঁেদ ফেলে বাংলাদেশে বসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পিংকি প্রতিবাদ করলে রাজ তাকে শাররিক নির্যাতন করা সহ প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনা কানাডার আদালতে রাজের নামে মামলা করেছে পিংকি। রাজ এখন কানাডিয়ান জেলে বন্দি আছে।

ভুক্তভোগি সুত্রে জানা গেছে, পিংকি ও রাজের সাথে পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। মুসলিম পারিবারিক বিবাহ আইনে পিংকির সকল ভরণপোষণের দায়িত্ব রাজের উপর বর্তায়। কিন্তু বিবাহ পরবর্তী সময়ে পিংকি তার ফুফাতো বোনের সহযোগিতায় স্বামী রাজকে নিয়ে কানাডায় চলে যান। সেখানে কিছুদিন সুখেই অতিবাহিত হয় পিংকি ও রাজের সাংসারিক জীবন। এরই মাঝে পিংকি-রাজের সংসারে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান।

এদিকে পিংকির অজান্তে রাজের জীবনে প্রবেশ করে দুশ্চরিত্রা লামিয়া। লামিয়া তার মায়ের সহযোগিতায় রাজের সাথে ইমু, হোয়াটস আপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে সেক্সচুয়াল চ্যাটিং করতে থাকে। বিনিময়ে লামিয়া রাজের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। রাজ লামিয়ার মায়ের কাছে প্রতিমাসে টাকা প্রেরন করে। একপর্যায়ে পিংকি এসব ঘটনা জানতে পারেন। পিংকি জানতে চাইলে রাজ জানায় দেশে থাকতেই সে লামিয়ার সাথে অবৈধ শাররিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু পিংকি রাজকে এই সম্পর্ক বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু রাজ পিংকির কোন কথা না শোনে লামিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। এই ঘটনায় বাধা দেয়ায় রাজ পিংকিকে শাররিক নির্যাতন করেন। পিংকি কানাডিয়ান পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ রাজকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরন করে। এক পর্যায়ে রাজ কানাডিয়ান পুলিশের কাছে থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন লাভ করে। কিন্তু রাজ জামিনে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পরে লামিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক নিয়মিত করে। পিংকি এতে বাধা দেয়ায় রাজ তাকে শাররিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পিংকি পুলিশ কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে জেলে প্রেরন করেন। রাজ এখন কানাডিয়ান পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

লামিয়া একটি দুশ্চরিত্রা নারী। সে একটি প্রতারনা চক্রের প্রধান। সে প্রবাসী ছেলেদেরকে ইমু, হোয়াটস আপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে সেক্সচুয়াল চ্যাটিং করে ফাঁদে বন্দি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। সে রাজকে সেক্সচুয়াল প্রতারনার ফাঁদে জড়িয়েছে। লামিয়ার এসব ঘটনায় আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রাজ নিজের প্রকৃত তথ্য গোপন করে পিংকিকে বিবাহ করেন। পিংকিকে না জানিয়ে রাজ মাফিয়া ও শিমলা নামের আরো দুটি মেয়ের সাথে অবৈধ শাররিক সম্পর্ক গড়ে তাদেরকে বিবাহ করেছেন বলে দাবী করেন।