সাইনবোর্ডে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুত্বর আহত ব্যবসায়ী
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়নগঞ্জ-সাইনবোর্ড গোলচত্ত্বরে কুখ্যাত সন্ত্রাসী হোসাইন আহম্মেদ পাটওয়ারী বাহিনী স্বদলবলে তারই ব্যবসায়িক পার্টনার শরিফুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুত্ব জখম করেছে। ৮এপ্রিল-২০২৫ রাত ১০টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানাধীন সাইনবোর্ডস্থ ফুটওভার ব্রিজের উপরে পৌছা মাত্র এঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত শফিকুল ইসলাম ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বাদী শামছুন্নাহার জানান, তার বাবা আহত শফিকুল ইসলাম আসামী হোসাইন আহম্মেদ পাটওয়ারীর নির্দেশে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন ইমদাদিয়া মাদ্রাসার একোয়ারকৃত ভূমির বিল বাবদ ২০ কোটি টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব গ্রহন করেন। এতে তিনি ৩৭ শতাংশ টাকা নিজে পাবেন। কিন্তু টাকা উত্তোলন হওয়ার পরে আসামী হোসাইন আহম্মেদ পাটওয়ারী উক্ত টাকা দিতে নানা ধরনের টাল বাহানা শুরু করেন।
এঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতের একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পর আসামীরা আমার পিতাকে মামলা উঠাইয়া নেয়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করেন। কিন্তু আমার বাবা মামলা উঠাতে অপরাগতা প্রকাশ করায় আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৮ এপ্রিল-২০২৫ তারিখে মীমাংসার কথা বলে আমার বাবাকে ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় শান্তিধারা আশ্রাফিয়া মাদ্রাসায় মিটিং করার জন্য ডেকে নেন। আসামীদের কথামত আমার বাবা ও তার বন্ধু মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মুফতি আব্দুর সাত্তারদের নিয়ে উক্ত মাদ্রাসায় গিয়ে মিটিং শেষে বাসায় আসার পথে ৮ এপ্রিল-২০২৫ তারিখ রাত ১০টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানাধীন সাইনবোর্ড সাকিনস্থ ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম মহসড়কের উপর ফুট ওভার ব্রিজের উপরে পৌছা মাত্রই পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসামীরা প্রত্যেকের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি, রামদা, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাবা ও তার বন্ধদের পথরোধ করে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। আসামী হোসাইন আহম্মেদ পাটওয়ারীর হুকুমে আসামী মাহমুদুল হাসান হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাবার ডান পায়ের গোড়ালির উপরে আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। যার ফলে আমার বাবা ফুটওভার ব্রিজের উপর লুঠাইয়া পড়ে যায় এবং অন্যান্য আসামীরা হাতে থাকা লাটিশোটা দিয়া আমার বাবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে নীলাফুলা জখম করে। আমার বাবাকে প্রানে মেরে ফেলার জন্য ৩নং আসামী জিল্লুর রহমান তাকে ফুটওভার ব্রিজ হইতে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা-সিলেট-চ্ট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেলে দেয়। আমার বাবার ডাক চিৎকারে আশ পাশে থাকা লোকজন ও আমার বাবা বন্ধুরা এগিয়ে আসলে আসামীরা আমার বাবাকে সুযোগ মতো পেলে প্রানে মেরে লাশ ঘুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আশ পাশে থাকা লোকজন ও আমার বাবা বন্ধুরা মিলে তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করিয়া দ্রুত ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠান শেরে বাংলা নগরে নিয়া ভর্তি করেন।