কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: কেরানীগঞ্জের বাঘাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। ছয় দিন ধরে নিখোঁজ এই শিক্ষার্থীকে ফিরে পেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রশাসনের সহযোগিতা চান তার মা হাসিনা বেগম।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতস্থ কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাকিবের সঙ্গে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শেষ কথা হয়। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। ৬ দিনেও তার কোনো খোঁজ পাইনি।
হাসিনা বেগম বলেন, পাশের বাড়ির লোকদের সঙ্গে আমাদের পুরনো শত্রুতা ছিলো। তারা আগে আমাদের বাড়িতে হামলা করেছিলো। আমাদের মারধর করে আহত করে, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাই। জীবননাশের হুমকি দেয়।’
তিনি বলেন,’আমি একজন মা। ছেলে নিখোঁজ থাকলে কোনো মা ঠিক থাকতে পারে। আমি ঠিক থাকতে পারছি না। সন্তান হারিয়েছি, আমার বুকের কষ্ট কে বুঝবে। ছেলেটা এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমার ঘুম নাই, খাওয়া নাই। প্রশাসনের কাছে গিয়েছি, তারা আমাদের অভিযোগ নেয়নি। উল্টো ওসি হুমকি দিয়েছে। তারা (পুলিশ) আমাদের বলে দিয়েছে, হেল্প করবে না।’
হাসিনা বেগম বলেন, পাশের বাড়ির দিলবার হোসেন, তার স্ত্রী মানসুরা, রবিউল ঢালী, জান শরীফ ঢালী হুমকি দিয়েছে। আমাদের মারধর করে আহত করেছে। তারাই আমার ছেলেটাকে নিখোঁজ করে ফেলেছে। মানসুরা আমার ছেলেকে ফোনে ডেকে নেয়। আমার ধারণা, তারাই আমার ছেলেকে গুম করেছে। এর আগেও তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছি। গুম করার হুমকি দিয়েছিলো। এখন তো আমার ছেলেটাকে গুমই করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমি বিচার চাই। আমি একজন মা, ছেলেকে ছাড়া আমি কেমনে বাঁচবো। আমার বাঁচা আর মরা এক সমান। ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। আমাকে ছেলেকে উদ্ধারে আপনারা সহযোগিতা করেন। ওরা যেন আমার ছেলের কোনো ক্ষতি না করে। আমার কাছে ফেরত দেয়। আমি ঘরে থাকতে পারছি না, খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমরা যেন ঘরে থাকতে না পারি এজন্য ওরা এমন করছে। আমার ছেলেকে ফেরত চায়।’
সংবাদ সম্মেলনে রাকিবের বাবা মো. দুলাল মিয়া, ফুফু ইয়াসমিন বেগম, ভাই হাসিবুর রহমান, তাদের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন, সুমাইয়াদ শাহরিয়ার ফিদা উপস্থিত ছিলেন।