গণপূর্তের প্রকৌশলী সাইফুলের পেটে বরাদ্দের টাকা

গণপূর্তের প্রকৌশলী সাইফুলের পেটে বরাদ্দের টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণপূর্তের ধানমন্ডি উপ-বিভাগে তৎকালীন কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি মালামাল চুরি সহ বরাদ্দের প্রায় ২কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেন্ডারে কাজের অস্তিত্ব বাস্তবে খুজে পাওয়া যায় না, তবে হিসাবের খাতাপত্রে লেখালেখির জায়গা খালি থাকে না। কোন কাজ না করেই ভুয়া কাগজপত্রের পরিপূর্ন সেট তৈরি করে বরাদ্দের পুরো টাকাই নিজের ও তার সহযোগিদের পেটে ঢুকিয়েছেন এমন অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত বেরিয়ে এসেছে। ধানমন্ডি জিগাতলার ১০/বি বাসার এলোটি আমজাদ হোসেন ২০২০ গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর নিকট এমন অভিযোগ দায়ের করেন। তবে আনন্দের বিষয় এখন পর্যন্ত সেই অভিযোগটির কোন তদন্ত হয় নাই। ফ্যাসিস্ট হাসিনার যুগে এধরনে লক্ষ লক্ষ অভিযোগেরই কোন তদন্ত হয়নি। কারন হাসিনা নিজেই ছিলেন চোরের রানী। দেশটাকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করে সবশেষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন খুনী হাসিনা। তবে প্রকৌশলী সাইফুলের মতো শিক্ষিত চোর গুলোকে রেখে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে এবং এখনো আছেন বহাল তবিয়তে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন ধানমন্ডি-জিগাতলা সরকারি বাজার কলোনীর ১-৫ নং বিল্ডিং এর সরকারি বাসা মেরামতের জন্য ২০১৯/২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় গণপূর্ত বিভাগ। এরনের আর্থিক বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও কোন সংস্কার কাজ না করে সংস্কার নামে বিল-ভাউচার সহ সকল ধরনের কাগজপত্র তৈরি করে পুরো টাকাই উঠিয়ে নেয় সাইফুল ও তার সিন্ডিকেট।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণপূর্ত অধিদপ্তর সরকারের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিভিন্ন সরকারী স্থাপনা নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পূর্ণ:মেরামত করে থাকে। যে সকল সরকারী বাসা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং ঐ সকল বাসায় কি কি কাজ করা হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে কত টাকা খরচ হবে এসবের বিস্তারিত বাসার এলোটিকে কাজ শুরুর পূর্বেই অবহিত করতে হবে। প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ক্ষেত্রে ঘটেছে অন্যকিছু, বাসার এলোটিরা জানেই তাদের বাসায় মেরামতের কাজ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত যখন ভবনটি পরিদর্শন করা হয়েছে, তখনই এলোটিরা বিষয়টি অবগত হয়েছে। অতপর এলোটি আমজাদ হোসেন ও নিউ বি-টাইপ, সরকারি কলোনী সরকারি কর্মচারী সমাজ কল্যান কেন্দ্রের হাজারীবাগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ২০২০ সালে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সুত্র ধরে হয়েছে শুধুই নাটক আর নাটক।

অভিযোগের সুত্র ধরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে উপসচিব মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে টাকা খরচের তালিকা চাওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করেন সরকারি বাসা মেরামতের (এপিপি) আর্থিক বরাদ্দ থাকলেও সংস্কার না করণ সংক্রান্ত আবেদনপত্রের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৬টি কাজের বিপরীতে ১৮৮.৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু কোন কাজই করা হয়নি। সুতরাং জিগাতলা সরকারি বাজার কলোনীর ১-৫ নং বিল্ডিংয়ে ২০১৭/১৮, ১৮/১৯ ও ১৯/২০ অর্থ বছরে কিকি কাজ করা হয়েছে তার তালিকা প্রেরণের জন্য নির্দেশ করা হলো। মাঝে এমন আরো অনেক চিঠি চালাচালি করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামে একটি চুলও কেউ ছিড়তে পারেনি। ভবিষ্যতে কেউ পারবে কিনা তাতেও সন্দেহ রয়েছে। কারন যে লংকা যায়, সেই কিনা রাবণ হয়।

More News...

খাঁটি আওয়ামীলীগার সামিউলের অঢেল সম্পদ

অবৈধ সম্পদে লালেলাল ইঞ্জিঃ জামাল