নাহিদে চোখ টেইটের

নাহিদে চোখ টেইটের

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইটের শখ্যতা বেশ পুরোনো। ২০১৩ সালে এই অজি পেসার চিটাগং কিংসের হয়ে প্রথমবার বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন। এবার সেই দলের কোচ হিসেবে এসেছেন বাংলাদেশে। একই দল, একই রঙের জার্সি দেখে বেশ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন টেইট।
বুধবার ঢাকা এসে বৃহস্পতিবার দলবলে নেমে পড়েন মিরপুরে বিসিবির একাডেমি মাঠে। লম্বা সময় ধরে ক্লাস নেন ক্রিকেটারদের। প্রথম দিনের কোচিং পাঠ চুকিয়ে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। এ সময় কথা বলতে গিয়ে বেশ স্মৃতিভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি।
গায়ের জার্সিটা দেখিয়ে হেসে বলেন, ‘যখন প্রথম কলটা পাই, নস্টালজিয়া তো কাজ করেছেই। ২০১৩-তেও এসেছি এখানে। কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেছে…জার্সির রংও একই আছে (হাসি)।’
নিজের স্মৃতিচারণ করার পর একে একে প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন টেইট। তবে বাংলাদেশ দলের পেস অ্যাটাকের অন্যতম নাম হয়ে ওঠা নাহিদ রানার প্রসঙ্গ আসতেই টেইট বেশ বিস্ময় প্রকাশ করেন।
নাহিদ খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। তবে তার ওপর আগেই চোখ পড়েছে বলে জানান চিটাগংয়ের কোচ, ‘আমি তাকে পাকিস্তান সিরিজে টিভিতে দেখেছি। এর আগে খুব বেশি জানতাম না ওর সম্পর্কে। অনেক লম্বা ও শক্তিশালী ছেলে। আমি বলব, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটা রোমাঞ্চকর একটা বিষয়, বিশেষত পেস বোলিংয়ে। সবসময় তো এমন হয় না, তাই না?’
একটা সময় বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে দুর্বল বিভাগ ছিল পেস। তবে এখনকার দল পেস বৈচিত্র্যে ভরা। টিম ম্যানেজমেন্টকে অনেক সময় মধুর সমস্যায় পড়তে হয় কাকে রেখে কাকে খেলাবেন। টেইট পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশ দলের গভীরতা দেখেও মুগ্ধ। সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, নাহিদের মতো একজন গতিময় বোলারকে টিকিয়ে রাখতে তার যত্ন নেওয়াটাও জরুরি, ‘পেস বোলিংয়ে এত গভীরতা থাকে না। নাহিদের মতো একজন, যে কি না ১৫০ কিমি গতিতে বল করতে পারে, এমন খুব কমই আছে। আমার মনে হয়, তার ভালোভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত একজনই হবে সে।’

More News...

পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙল মেয়েরা

প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল পাচ্ছেন মেসি