জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ৭ রান। হাতে ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ক্রিকেটে কাজটা দুরূহ না হলেও স্নায়ুচাপ ধরে রেখে খেলা কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন কাজটা সহজে পরিণত করলেন আফিয়া আসিমা ইরা। প্রথম বলেই হাঁকালেন চার। দুই বল পর ফের বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এড়ালেন পরাজয়ের শঙ্কা। ওতেই স্বস্তির সুবাতাস অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। টানা দুই ম্যাচে হারের পর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাক্সিক্ষত জয়ের দেখা পেয়েছে সুমাইয়া আক্তারের দল।
অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রস্তুতির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে শ্রীলঙ্কা সফরে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। অবশ্য সিরিজের শুরুতেই হোঁচট খায় দল। টানা দুই পরাজয় সিরিজ হারের শঙ্কা জাগায়। তাই তৃতীয় ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই।
এমন ম্যাচে টাইগ্রেসদের জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলাররা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আনিসা-নিশিতাদের বোলিং তোপে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে স্বাগতিকরা উইকেট হারায়। টপঅর্ডারদের ব্যর্থতায় সপ্তম উইকেটে দলের হাল ধরেন হিরুনি হানসিকা ও শশিনি গিমানি। দুজনের ২১ বলে ৩৬ রানের জুটিতে শতরান পার করে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা ১০৯ রান তোলে। টাইগ্রেসদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আনিসা আক্তার সুবহা।
স্বল্প টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে টাইগ্রেসদের শুরুটা ছিল অপ্রত্যাশিত। স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ না হতে ফিরে যান দুই টপঅর্ডার ব্যাটার। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিতে তৃতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি করেন ফাহমিদা ছোঁয়া ও সাদিয়া ইসলাম। সাদিয়া ২৪ রানে কাটা পড়লে দলের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। ছোঁয়া ও সুমাইয়া জুটি থেকে আসে ৩৩ রান। তবে ৩৮ রান করা ছোঁয়া দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটের ফাঁদে পড়লেও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি। আফিয়ার ১৮ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন শশিনি গিমানি ও রাশমিকা সেওয়ান্দি।
আজ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুদল। যেখানে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে সিরিজে সমতা ফেরানো। অন্যদিকে স্বাগতিকদের চাওয়াটা একটু বাড়তি। সিরিজের ট্রফিটা ঘরে রেখে দেওয়ার। এখন দেখার বিষয় মালয়েশিয়ায় পা রাখার আগে টাইগ্রেসদের পারফরম্যান্সের ধারা কতটা বজায় থাকে।