রংপুর ভাঙনি আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ভাবমূর্তি বিনষ্ট

রংপুর ভাঙনি আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ভাবমূর্তি বিনষ্ট

রংপুর প্রতিনিধিঃ

ভাঙনি আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ভাবমূর্তি বিনষ্ট ভুয়া সনদে নিয়ম বহির্ভূত পন্থায় ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার দোসর শাহনাজ বিউটি সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) পদ মর্যাদায় থাকার তথ্য ফাঁস।

রংপুর জেলার মিঠাপুকুরের ভাঙনি আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অনিয়ম পতিত সরকার তথা হাসিনা সরকারের দলীয় প্রভাব প্রয়োগ সাপেক্ষে মহিলা যুবলীগ মহানগর কমিটির আহবায়ক শাহনাজ বিউটি সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

প্রকাশ থাকে যে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়,,শাহনাজ বিউটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক তৃতীয় শ্রেণীর ফলাফল আবেদনের জন্য প্রযোজ্য নহে উল্লেখ থাকলেও সেটা অগ্রাহ্য করে মাস্টার্স তৃতীয় শ্রেণীর সনদ এবং বগুড়ায় বেগম রোকেয়া কলেজ নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তার সনদ ইস্যু রয়েছে উক্ত নামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।

উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ মহিলা যুবলীগ রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক থাকাকালীন শেখ হাসিনা সরকার আমলে সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,ভূমি দস্যু হিসেবে সুপরিচিত শাহানাজ বিউটি মিঠাপুকুর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোঃ নাজমুল হক ইমন কর্তৃক দায়ের কৃত ৬৯৩/২৪ নং মামলার ৭ নং আসামি বটে ।

ভাংনি আহমদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার চলতি দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু ছালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া যিনি গভর্নিং বডির ১৯/০৬/২০২৪ ইং তারিখের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০/৬/২০১৩ তারিখ হইতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে যাচ্ছেন বলে স্মারক নং ভাআফাডিমা/মিঠা/রং /২০২৪/১০(১) মোঃ ফরিদুজ্জামান (সভাপতি) ভাংনী আহমদীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা মিঠাপুকুর রংপুর স্বাক্ষরিত আদেশপত্রে প্রমাণিত রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রংপুর স্মারক নং ০৫, ৫৫,৮৫০০,০১৬,১৪, ০১৫,২৪,৭৪৭,(৪০) তারিখ ২৬/৯/২০২৪ ইং পত্রাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার জনাব আবু সালেহ মোঃ জাকারিয়া গ্রহণ করার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতি অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের হাত থেকে মুক্ত রাখতে সচেষ্ট হন।

ভয়ংকর প্রকৃতির মানসিকতা সম্পন্ন শাহনাজ বিউটি তার খেয়াল খুশি মতো শিক্ষকতা পেশা দীর্ঘ বছর যাবৎ পালন করায় বেশ কয়েক মাস একটানা অনুপস্থিত থাকলে তাকে নোটিশ তলবের ভিত্তিতে অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ দর্শানোর আলোকে জবাব চাইলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা সহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: ময়নুল ইসলামের প্রভাব বিস্তার করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে অগ্রাহ্য করতে থাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বসম্মতিক্রমে শাহনাজ বিউটিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। আর তখনই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত

মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলার বাদিনী হয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু ছালেহ মোঃ জাকারিয়া,প্রভাষক শফিকুল ইসলাম,একেএম শাহিন আক্তার কে আসামি সাজিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -১, রংপুর আদালতে মিথ্যা মামলা পিটিশন নং ১০৯/২৪ দায়ের করেন। এহেন নেক্কার জনক ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী ও শিক্ষকদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টায় সম্পৃক্ত থাকা শাহনাজ বিউটির প্রতি ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকগন ও এলাকার সুশীল সমাজ ঘৃণা প্রকাশসহ তীব্র নিন্দা জানান । চলবে

More News...

চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে স্মরণ সভা ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

বিশ্বের ইতিহাসে কোন পতিত স্বৈরাচার পুনরুজ্জীবিত হয়নি, আওয়ামী লীগও হবে না : জমির উদ্দিন নাহিদ