অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন খাতের অগ্রগতি

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন খাতের অগ্রগতি

নগর প্রতিবেদকঃ

বিগত ২০২৪ সালের আগষ্ট ৮ তারিখে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেওয়ার পরপরই “শ্রম ও অভিবাসন” সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন ২০২৩ (সংশোধন)। যেখানে সাব এজেন্টদের স্বীকৃতি প্রদান, রিক্রুটিং এজেন্ট, লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিলের বিধান, জরিমানা আরোপের বিধি যুক্ত করা হয়েছে। নারী অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা, সম্মান, ও মর্যাদা রক্ষা কল্পে অভিবাসী কর্মীদের ও তাদের পরিবারের আর্থিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ পুনঃবাসনের সুবিধাদি নিশ্চিত করা এবং শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে প্রবাস থেকে আগত ও বিদেশ গমন ইচ্ছুক যাত্রীদের শুল্ক সংক্রান্ত সেবা নিশ্চিতকরণে কাষ্টমস হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। এছাড়াও রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহের লাইসেন্স, সাব-এজেন্ট লাইসেন্স, নিবন্ধন ও আচরণ বিধিমালা-২০২৪ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ কেন্দ্র বিধিমালা ২০২৩ প্রণীত হয়েছে। যার মধ্যে কল্যাণ বোর্ডের গঠন কার্যক্রম পরিচালনা, অর্থায়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা রয়েছে। জরুরী পরিস্থিতিতে, যেমন যুদ্ধাবস্থায় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনিয়মিত কর্মীদের সহায়তার বিধান অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বিগত বছরের ১৭ই নভেম্বরে বিমান বন্দরের কাষ্টমস হেল্প ডেস্ক উদ্ভোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান খান। কাষ্টমস হেল্প ডেস্ক উদ্ভোধনের পাশাপাশি নতুন তিনটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল বি আর চালান চালু করেন। অতঃপর এন বি আর চেয়ারম্যান বিমানবন্দর কাষ্টমসের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে কাষ্টমসের এয়ার ফ্রেইট ইউনিট আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ইউনিট এবং বিমান বন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। উদ্ভোধন শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন- কাষ্টমসের পক্ষ থেকে যাত্রীসেবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাত্রীরা সহজেই কাষ্টমসের কাছ থেকে যাতে সেবা পান আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিমান বন্দরের এই হেল্প ডেস্ক চালুর মাধ্যমে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের এবং যাত্রীদের সেবা আরো তরান্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আরো বলেন কাষ্টমসের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানির মতো অভিযোগ এলে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ঐ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং সেই সাথে এয়ারক্রাফটের ভিতরে সোনা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এর দায়-দায়িত্ব এয়ার ক্রাফট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতে হবে। বার বার এ ধরণের ঘটনা ঘটে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সম্পর্কে তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন-ব্যাগেজ রুলে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। দেশে কিভাবে স্বর্ন আসছে এর উত্তর আমার কাছে নেই? তবে আমদানীর তথ্য দেখলে জানা যাবে স্বর্ন আমদানী কম হচ্ছে। বিমান বন্দরে প্রবাসিদের সহায়তা করতে কাষ্টমস কাজ করছে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য হাসান আহমেদ। কাষ্টমস হাউজের কমিশনার অফ কাষ্টমস মোবারা খানম। অতিরিক্ত কমিশনার অফ কাষ্টমস মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সিফাত ই মরিয়ম, যুগ্ম কমিশনার কাষ্টমস ও এয়ারপোর্ট কাষ্টমস ইনচার্জ মোঃ আলামিন সহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ও কাষ্টমসের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এদিকে বিগত ৫ই আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রাম বন্দর ও কন্টেইনার পরিবহন ও কন্টেইনারে পণ্য পরিবহন সেবার মান ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় ৩.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের হিসাবে ২০২৪ সালের হিসাবে মোট পণ্য কন্টেইনারের পণ্য সহ পরিবহন হয়েছে ১২৩৬০০০০০ অর্থাৎ বার কোটি ৩৬ লক্ষ টন। বিগত ২০২৩ সালে, যা ছিল ১২ কোটি ২ লক্ষ টন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দরগুলোর তথ্য তুলনা করে দেখা যায়, সমুদ্রপথে বৈদেশিক বাণিজ্যের ৮৭ শতাংশই আদান-প্রদান হয় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে। এছাড়াও পায়রা ও মংলা বন্দর দিয়ে আনা নেওয়া হয় ১৩ শতাংশ পণ্য। তবে কন্টেইনার পরিবহনের ৯৯ শতাংশই আনা নেওয়া হয় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে।

More News...

পালিয়ে থেকে সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন নসরুল হামিদ

ঋণের টাকা লুটের যত আয়োজন