মরু ট্রাফল খুঁজে বের করার তীব্র প্রতিযোগিতা

মরু ট্রাফল খুঁজে বের করার তীব্র প্রতিযোগিতা
জনকথা ডেস্ক: সৌদি সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীতে মরু ট্রাফলের প্রভাব হাজার বছরের পুরনো। আরবিতে এটা ফাক’আ (ভধয়ধধ) নামে পরিচিত। এটা মূলত বিরল প্রজাতির মাশরুম। মাটির তলায় থাকে বলে এটাকে গুপ্তধন বলা হয়।

মাটির সোঁদা গন্ধ এই মাশরুমে লেপ্টে থাকে। সৌদি মরুভূমিতে বিশেষ কিছু গাছের তলায় অথবা আশপাশে এগুলো গোপনে বেড়ে ওঠে। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই খাবারটিকে তাই তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করা হয়। চক্ষুরোগে এই মাশরুমের কষ উপকারী—মহানবী (সা.)-এর একটি হাদিসেও তা বর্ণিত হয়েছে।
গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ছাত্র থিওফ্রাস্টাস ট্রাফল সম্পর্কে যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৫০০ বছর আগে লিখেছেন, ‘খুবই জটিল একটি প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ, খুবই অদ্ভুত উদ্ভিদ, যার থাকে না কোনো মূল কাণ্ড আঁশ শাখা মুকুল পাতা ও ফুল।’

এ মুহূর্তে ‘শীতকালের গুপ্তধন’ হিসেবে পরিচিত এই মাশরুমটি খুঁজে বের করার তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় রাফহা সীমান্তের আল-শাহিন এলাকায়। শীতকালে সৌদিরা এই সীমান্ত এলাকায় দল বেঁধে ট্রাফল শিকারে মেতে ওঠে। এটা তাদের কাছে ঐতিহ্য আবিষ্কারের নেশা, প্রকৃতিকে কাছ থেকে জানার প্রেরণা।

এটাকে তারা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশ মনে করে। তাই এটাকে শুধু খাদ্য অন্বেষণ প্রক্রিয়া ভাবার সুযোগ নেই।স্থানীয় অধিবাসীরা হাজার বছর ধরে মরু ট্রাফল সন্ধান করে আসছে। এ কারণে তারা মাটির দিকে তাকিয়ে বলতে পারে, সেখানে কোনো ট্রাফল রয়েছে কি না। অথবা এই মরু মাশরুমের পাশে কোন কোন ধরনের উদ্ভিদ গজায়, তা দেখেই তারা বুঝতে পারে আশপাশে ট্রাফল রয়েছে

উল্লেখ্য, সৌদি আরবে সাধারণত চার ধরনের ট্রাফল পাওয়া যায়। এগুলো হলো জুবাইদি (গোলাকার), খালাসি (আকারে ছোট ও আকৃতিতে অসমান বা অনিয়তাকার), জাবি (ছোট ও গোলাকার) ও  হুপার (সবচেয়ে এবড়োখেবড়ো)।মূলত বৃষ্টির পরশ পাওয়ার পর মাটির নিচে ট্রাফল গজায়। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এগুলো পরিপক্ব হয়। আর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত স্থানীয়রা এই ট্রাফল অনুসন্ধান করে। সূত্র : এরাব নিউজ

More News...

পালিয়ে থেকে সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন নসরুল হামিদ

ঋণের টাকা লুটের যত আয়োজন