রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দুই পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ীর নাম আনোয়ার হোসেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, গুলিবিদ্ধ আনোয়ার অলংকার জুয়েলার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। ডি ব্লকে তার দোকান। রাতে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে করে ডি ব্লকের বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। পথে তিনটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা গিয়ে তার পথরোধ করে এবং গুলি করে তার কাছ থেকে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢামেকে গুলিবিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অলংকার নামে আমার জুয়েলারি দোকান আছে। রাতে দোকান বন্ধ করে দুইশ ভরি স্বর্ণ ও এক লাখ টাকা নিয়ে বাসার গেটে আসি। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে প্রায় সাতজন আমার কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে আমার সাথে থাকা স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। কেউ কেউ আবার আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেছেন।
বনশ্রীবাসী নামক একটি ফেসবুক পেজে লায়লা রাতুল মৌ নামের একজন একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘অবশ্যই এটা (ছিনতাই) প্ল্যান করে করা হয়েছে, কারণ বনশ্রীতে হাতেগোনা কয়েকটা দোকান গোল্ডের। সবসময় সবাই এক নামই চিনে। ওনাকে অনেক আগে থেকে প্ল্যান করে রেখেছিল বলে আজকে এই ঘটনাটা ঘটছে। কারণ সবাই জানে ওনার কাছে টাকা আর গোল্ড থাকে। প্রতিটি গোল্ডের দোকানের মালিকের কাছে টাকা আর গোল্ড অবশ্যই থাকে বাসায় ফেরার সময়। পরিপূর্ণভাবে প্ল্যান করা ছিল দেখে তিনটা বাইক এসেছে আর সবাই অস্ত্র সবকিছু নিয়ে এসেছে।’
সোহরাব হোসেন সানি নামের আরেকজন লিখেন, ‘পরিকল্পিত ঘটনা মনে হচ্ছে! সঠিক তদন্ত চাই।’
সাকিব আহমেদ নামের আরেক বাসিন্দা একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন ‘আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আমরা ধাক্কা দেওয়ার আগে সসম্মানে পদত্যাগ কর। লাউড এন্ড ক্লিয়ার।’