কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে সীমা বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগানগর ছোট মসজিদ এলাকার একটি ফ্লাট বাসায় সীমাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পরকীয়া প্রেমিক ইমাম হোসেন (২০)। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৮ টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ইমাম হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ছোট মসজিদ এলাকার নাজির উদ্দিনের বাড়ীর নিচতলায় ভাড়া দেয়া দুই রুমের ফ্লাটের এক রুমে দরজা বন্ধ করে সীমাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে চোখ, হাত বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইমাম হোসেন। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
বাড়ির মালিকের ছেলে রাকিব হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, যে রুমে এঘটনা ঘটেছে সেই রুম ভাড়া নিয়ে ইমাম হোসেনের মামা শাহীন পরিবার নিয়ে থাকেন। ফ্লাটের অন্য রুমে আরেকটি পরিবার থাকে। সম্প্রতি ইমাম হোসেন গ্রামের বাড়ী ভোলা থেকে মামা শাহীনের বাসায় উঠেছেন। গতকাল শাহীন স্বপরিবারে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। ভাগ্নে ইমাম হোসেনকে বাসায় একা রেখে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগে ইমাম হোসেন ও নিহত নারী বাইরে থেকে ফ্লাটে এসে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এর কিছু সময় পর ভিকটিমের চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলেও ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় তারা কিছুই করতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর হাতে বটি নিয়ে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে। উপস্থিত সবাইকে ভয় দেখিয়ে সরে যেতে বলে। এরপর সে বটি ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ধরে ফেলে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। এ দিকে ঘটনার পরপরই সীমা বেগমের স্বামী আক্তার হোসেন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আটকের পর ইমাম হোসেন জানায়, ওই নারী তাকে নানাভাবে ব্লাকমেইল করতো। এজন্য তাকে সে নৃশংসভাবে কুপিয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ইমাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভিকটিমের সঙ্গে ইমাম হোসেনের ‘রিলেশন’ ছিল। সে ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্ত ও এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ওসি আরও জানান, ইমাম হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলায়। সেখানকার একটি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকায় এসেছে স্নাতকে ভর্তি হতে ঢাকায় এসেছে।
