গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ উপায়ে মাটির ব্যবসা করে আসছেন। ৫আগষ্ট খুনী হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে তার এই ব্যবসার পার্টনার বনে গেছেন উপজেলা ছাত্রদলের ৭নং যুগ্ন আহবায়ক সুজন খান। আশরাফুল বিগত ১৫বছর আওয়ামী ক্ষমতা বলে জোড়পূর্বক মানুষের জমি ও সরকারী খাস জমির মাটি কেটে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিছেন। আশরাফুল ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে প্রকাশ্যে গুলি করার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। আওয়ামীলীগের সবাই পালিয়ে গেলেও আশরাফুল মোটা অংকের নগদ টাকা ও মাটির ব্যবসার পার্টনারশিপ দিয়ে সুজন খানকে কিনে নিয়ে বুক ফুলিয়ে এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্থাণীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের আশারিয়াবাড়ি হাবিজুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম। সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সভাপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন এবং অবৈধ উপায়ে মাটির ব্যবসা করে বনে যান কোটি টাকার মালিক। এবিষয়ে এলাকাবাসীর বক্তব্য নিতে গেলে ভয়ে তারা কেউ মুখ খুলতে চায়না। জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট খুণী হাসিনা ও তার বাহিনী অন্তত ১৬শ’র অধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে ৫ই আগস্ট খুনী হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়।
ছাত্রজনতার এই আন্দোলনের সময় কালিকৈরের আনসার ভিডিপি এলাকায় রুবেল শেখ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে রুবেল শেখ বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় ১৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আশরাফুল আলম ১০৬ নং এজাহারভুক্ত আসামি হয়েও ছাত্রদল নেতা সুজনের ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে এলাকায় দাপুটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতের আঁধারেও কৃষকের জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এতে কৃষি জমি, পাহাড়ের টিলা, রাস্তাঘাট, দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর সহ ৭ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।