চান্দিনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক তৃতীয়াংশ ঘরে নেই ভূমিহীন

চান্দিনায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক তৃতীয়াংশ ঘরে নেই ভূমিহীন
চান্দিনা প্রতিনিধি: ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিত করতে বিগত সরকার সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লার চান্দিনাতেও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে ভূমিহীনদের আশ্রয় দেন। বরাদ্দকালে বিভিন্ন মহলের তদবিরে কিছু সংখ্যক মানুষ ঘর বাগিয়ে নিলেও বর্তমানে ওই ঘরে থাকছেন না অনেকে।পরিত্যক্ত ওইসব ঘরে এখন মানুষের পরিবর্তে কোথাও লাকড়ির স্তূপ আবার কোথাও রয়েছে হাঁস-মুরগি! কেউ আবার ঘরের বৈদ্যুতিক তারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম নিয়ে উধাও। বরাদ্দকৃত ঘরের এক তৃতীয়াংশ ঘরই এখন ফাঁকা। এমন অবস্থায় তাদের বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত গৃহহীনদের নামে বরাদ্দ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।পবিপ্রবিতে প্রকাশ্যে শিবির সভাপতি, ফেসবুকে পোস্টে ঘোষণা
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ হাতে নেয়। ওই কর্মসূচির আওতায় সরকারি খাস জমিতে দৃষ্টিনন্দন পাকা ঘর ও ঘর সংযুক্ত শৌচাগার নির্মাণ এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে তথায় গৃহহীনদের জমিবন্দোবস্তসহ গৃহ বরাদ্দ দেন।

ওই কর্মসূচির আওতায় কুমিল্লার চান্দিনায় পাঁচ ধাপে উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ভোমরকান্দি, কেরণখাল ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া, বাড়েরা ইউনিয়নের বাড়েরা, মহিচাইল ইউনিয়নের অম্বরপুর গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ২১৬টি গৃহ নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিটি ঘরে গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিত করেন।

পরবর্তীতে ওই ঘরে থাকছেন না অনেক পরিবার। ঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীরা কেউ বা কর্মের তাগিয়ে পরিবার নিয়ে শহরে থাকেন, আবার কেউ কেউ ঘর বরাদ্দ নিয়ে পূর্বের ঠিকানায় ফিরে গেছেন। এর আগে বরাদ্দ পেতে রাজনৈতিক বিবেচনায় তদবির, উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরের চাকরির সুবাদে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সুপারিশ, আবার কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে ঘর বরাদ্দ নেন।উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ভোমরকান্দি গ্রামের খাস জমিতে একত্রে ৪০টি ঘর নির্মাণ করে সেখানে ৪০ পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ৫, ৭, ১১, ১৪, ২৪, ২৯, ৩০, ৩৫, ৩৬ ও ৪০ নম্বর ঘরগুলোর কোনোটিতে তালা ঝুলছে, আবার কোনোটির দরজা খোলা ফেলেই চলে গেছেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা। তালাবদ্ধ ঘরগুলোর কোনোটির সামনে রয়েছে পাশের ঘরের বাসিন্দাদের লাকড়ি ও পাতার স্তূপ। দরজা খোলা ফেলে চলে যাওয়া ঘরগুলোর ভেতরে রয়েছে পাশের ঘরের বাসিন্দাদের লাকড়ি, খড়, কুটি। আবার কোনোটিতে হাঁস-মুরগি পালন করা হচ্ছে।সেখানকার ৪০ নম্বর ঘরটি যার নামে বরাদ্দ ওই ব্যক্তি ঘর বরাদ্দ পাওয়ার কয়েকদিন পর ঘরের বৈদ্যুতিক তারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খুলে নিয়ে গেছেন।
কোনো কোনো ঘরে দুই বছরেও কোনো মানুষ বসবাস না করায় বকেয়া বিলের দায়ে বৈদ্যুতিক লাইন কেটে নিয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। আবার কোনো ঘরে একদিনও বৈদ্যুতিক আলো না জ্বলায় দুই বছরে মিটার রিডিং শূন্যের কোঠায়!

 

More News...

বিশ্বের ইতিহাসে কোন পতিত স্বৈরাচার পুনরুজ্জীবিত হয়নি, আওয়ামী লীগও হবে না : জমির উদ্দিন নাহিদ 

টঙ্গীতে মায়ের হাতে অবুঝ দুই শিশু ছেলে মেয়েকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জবাই