আশাশুনির নাংলায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পাকা ঘর ও প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি (সাতক্ষীরা)।। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের নাংলা গ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পাকা ঘর ও প্রাচীর নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে থানা পুলিশের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা। নাংলা গ্রামের মৃত রহিম বক্স সরদারের ছেলে নুর ইসলাম জানান,১৯৬৭ সালে তিনি তার নানা হাজির উদ্দীনের কাছ থেকে ২৮ শতক জমির মধ্যে ১৭ শতক জমি ক্রয় করেন। বিবাদী মৃত আলী সানার ছেলে আঃ সবুর সানা,আঃ ছাত্তার সানা,নূরুল সানা,নূরুল সানার ছেলে শওকাত হোসেন,মিজানুর রহমান সানা, সিরাজুল ইসলাম সানা এবং আঃ ছাত্তার সানার ছেলে শফিকুল ইসলাম,মনিরুল ইসলামদের উপর আমার খরিদা সম্পত্তির রেকর্ড করানোর দায়িত্ব ছিল। ন্যাস্ত বিশ্বাস বরখেলাপ করে নিজেদের নামে বিআরএস রেকর্ড সৃষ্টি করে। তঞ্চকী রেকর্ড প্রকাশ হওয়ায় ভ্রমাত্মক রেকর্ড সংশোধনের জন্য আমি বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে মামলা করি। যার নং দেং-২৬৩/২৩ (আশা)। মামলা চলমান আছে। তারপরও বিবাদীরা নালিশী জমি জবর দখলের হুমকি ও প্রচেষ্টা করায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ ধারা মামলা করি। যার নং পি-৪৪৭/২৫ (আশা)। বিজ্ঞ আদালত নালিশী জমিতে শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্য আশাশুনি থানার উপর আদেশ দেন। থানা ২৩ মার্চ নোটিশ জারী করেন। নোটিশে ২৯ জুন ২য় পক্ষকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে কারন দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। কোন পক্ষ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ করলে সেই পক্ষ্যের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
কিন্তু বিবাদীরা নোটিশ অগ্রাহ্য করে গত ২৬ মার্চ ভোর ৫ টার সময় পূর্ব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি মোতাবেক বে-আইনী জনতায় দলবন্ধে নালিশী জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে পাকা প্রাচীর নির্মান করতে থাকে। বাদীরা মৌখিক ভাবে বাঁধা দিলে বিবাদীগণ শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ করে গালি গালাজ,ইট উচু করে হুমকী দিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ করে তোলে। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এদিন ঘটনাস্থলে পৌছে কাজ বন্দ করে দেন। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর বিবাদীরা কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় পরস্পরের মধ্যে শান্তি শৃংখলার অবনতির সম্ভাবনা বিদ্যমান। বাদী জানান,আদালত অমান্য করে রাজমিস্ত্রী নাংলা গ্রামের হাকিম সরদার, মোক্তার সরদার এবং ৫/৬ জন জোগাড়ে বিবাদীদের সহযোগিতায় কাজ অব্যাহত রেখেছে। আমাদেরকে হুমকী ধামকী দিচ্ছে। ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারছিনা। আমরা বিলের মধ্যে বসবাস করছি, সেখানেও তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকী দিচ্ছে দাবী করে বাদীপক্ষ আইন আদালত ও পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিবাদী পক্ষের রবিউল ইসলাম জানান,আমাদের এজমালী সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা চলছে,আমি বাড়িতে ফিরে সকলকে নিয়ে বসে মিমাংসা করে দেব।