লৌহজংয়ে ভুয়া দলিলে নামজারির চেষ্টা, ঘুষ কেলেঙ্কারি: দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
লৌহজংপ্রতিনিধি :
মুন্সিগঞ্জের লৌহ জংয়ে, সাংবাদিকতার নামে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় সন্ত্রাসী কায়দায়, ২০০৫ ইং সনের মূল দারার সাংবাদিকদের নিয়ে গঠন করা, লৌহজং প্রেসক্লাব নামের সাথে মিল রেখে, আরো একটি লৌহজং প্রেসক্লাব,২০২০ইং দিয়েগঠন করে। এবং তাহা পরচার ও প্রকাশ করিতে থাকে,গত চার বছর ধরে বিভিন্ন কুটু কৌশলের মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে তারা, বর্তমানে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন, দৈনিক ইনকেলাবের লৌহ জং প্রতিনিধি, মোঃ শওকত হোসেন ও দৈনিক সমকালের থেকে দুই বারের বহিষ্কৃত হওয়া কথিত সাংবাদিক মোঃ মিজানু রহমান ঝিলু। তাদের বিরুদ্ধে এক দিকে জাল দলিল দিয়ে জমি নাম জারী, ঘুষ কেলেঙ্কারিও এসিলেন্ট অফিসের কর্মকর্তাদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। সূত্রমতে ২০২৩ ইং হইতে ২০২৫ ইং পর্যন্ত চার দফায়, গাওদিয়া ইউনিয়নের আপর মৌজায় আর এস দাগ নম্বর ৫৮- ৫৯জমির নামজারি চেয়ে, একটি পক্ষ আবেদন করে ঐ দুই সাংবাদিক যার পক্ষ নিয়ে কাজ করছিল। প্রথম দফায় দলিল(নং ২২১৮) জমির পরিমাণ ৬০ শতাংশ সমস্ত কাগজপত্র কম্পিউটার অপারেটর ইমন হোসেন যাচাই করে,তাহা জাল প্রমানিত হয়, পরে এসিল্যান্ড সাহেবকে বিষয়টি জানায়।
২০২৪ ইংসালে করা আরও দুটি আবেদনের দলিল (নং৩২৩৬) এখানে জমির পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ, এটাও একই ভাবে জাল প্রমাণিত হয়। জাল দলিলের মাধ্যমে বারবার নামজারীর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে,সাংবাদিক শওকত ও ঝিলু ভূমি অফিসের কম্পিউটার অপারেটর ইমন সাহেবের উপরক্ষুব্ধ হন। তারা তাকে অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এবং তাদের কথিত লৌহজং প্রেসক্লাবের সদস্যদের দিয়ে, স্থানীয় পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে ইমন হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশ করে। এবং ব্যক্তিগত আয় ব্যয়ের উৎস নিয়ে কুৎসা রটনা করা হয়। এতসব মিথ্যা অপপ্রচারের জেরে তৎকালীন এসি ল্যান্ড কায়েসুর রহমানকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, তিনি বলেন এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে পেলে তদন্তের আশ্বাস দেন। এ অবস্থায় ছয় মাসের ও বেশি অতিবাহিত হয়ে গেলে,কেহ কোন অভি যোগ দেয়নি।
তাই বিষয়টি আর অগ্রসর হয়নি, তারপরও ইমন সাহেবকে ছয় মাসের জন্য অব্যাহতি নিতে বাধ্য করা হয়। সরকার পরিবর্তনের পর নতুন এসিলেন্ট এসে তাকে আবার পুনরায় দায়িত্বতে ফেরত আনেন। তবে অভিযুক্ত দুই সাংবাদিক, এখনো থেমে থাকেনি, ২০২৫ইং সালে একই জাল দলিল ব্যবহার করে পুনরায় আবার ও নামজারির জন্য আবেদন করেন। গাউদিয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিসের নায়েব কে বড় অংকের টাকা ঘুষ দেওয়ার অফারকথা জিল্লুর নিজ মুখে স্বীকার করে। এদিকে ফাঁস হওয়া একটি কল রেকর্ডের শোনা যায়। সাংবাদিক জিলু বলছেন, নায়েব কে ২ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দিয়েছি প্রয়োজন হলে তিন লক্ষ দিব, অন্যদিকে শওকতের সাথে কথা হলে ইমন জানায় দেন,আপনাদের দলিল জাল হওয়ার কারণে এসিলেন্ট স্যার আপনাদের আবেদন না মঞ্জুর করে দেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় উক্তজাল জালিয়াতির ঘটনায় শওকত জিলু সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপর, পূর্বের করা মিথ্যাসংবাদ গুলি কাটিং আবার ছড়িয়ে দিয়ে, ইমন হোসেনের ভাবমূর্তি নষ্ট করারচেষ্টা চলছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকতার মত গৌরবময় পেশা কিভাবে এমন দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হতে পারে। স্থানীয়রা জানান উপজেলা প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে জোর দাবি, অপসংবাদিকতা করে সৎ কর্মকর্তাদের হয়রানি করা ওই চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত, ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক স্বাস্তির নিশ্চিত করা হোক। তা না হলে সমাজে ন্যায় বিচারও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে।।একাধিক সূত্রে জানা যায় শওকত হোসেন২০২০ইং শনের কথিত লৌহজং প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি পদে রহিয়াছেন। মিজানুররহমান ঝিলু সাবেক সভাপতি ছিলেন। এই দুইজনই মিলে একটি প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে সাংবাদিকের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদের অ মর্যাদা করেছেন এবং সাথে সাংবাদিকদের মান নষ্ট করেছেন এদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইন অনুগ্য ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।