লাগামহীন ব্যাটারী রিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই এবং পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে সহযোগী হতে চাই : শেখ জাবেদ
স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ জনসংখ্যার বাসবাস চট্টগ্রাম মহানগরীতে উক্ত নগরীর মোট রাস্তার আয়তন প্রায় ১৭০ বর্গ কিলোমিটার উক্ত শহরে প্রধান সড়কের চেয়ে উপ-সড়ক ও গল্লি-সড়ক অনেক বেশি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং স্বল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বৈধ অবৈধ তোয়াক্কা না করে ঝুকে পড়েছে ব্যাটারি রিকশার দিকে। এই গাড়ি গুলো চালাচ্ছে অদক্ষ অনভিজ্ঞ চালক, যার ফলে দিন দিন রাস্তার দুর্ঘটনা ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অপরিকল্পিত নগরায়নে পরিণত হচ্ছে। এই লাগামহীন গাড়ির লাগাম টেনে ধরতে এবং পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে সহযোগী হতে চাই বলে দাবি জানান চট্টগ্রাম মহানগর ইলেক্ট্রনিক থ্রী হুইলার সমিতির সভাপতি শেখ জবেদ। তিনি আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই গাড়ি গুলো নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের প্রত্যেকটি থানায় থানায় সংগঠিত করেছে মালিক-চালক ঐক্য পরিষদ। কর্ম পরিকল্পনা হিসেবে ১ম ধাপে শুরু করেছে চালাকদেরকে প্রশিক্ষিত করার কার্যক্রম।
শেখ জাবেদ আরও বলেন, চালকগণ প্রশিক্ষিত না হলে দুর্ঘটনা রোধ করা কোনভাবে সম্ভব হবে না। প্রশিক্ষিত চালকগণকে দেয়া হচ্ছে পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড। যে পরিচয় পত্রের কারণে রোধ হবে গাড়ি হারানো বা গাড়ি দিয়ে চুরি- ডাকাতির ঘটনা এবং সকল চালকগণের পরিধানে থাকবে নির্দিষ্ট পোষাক। এতে রোধ করা যাবে রাস্তার যানজট ও দুর্ঘটনা।
তিনি সাধারণ ব্যবসায়ী ও মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সচেতন হোন রাস্তার ক্যাপাসিটির বাইরে একজন মালিক একাধিক গাড়ি ক্রয় করবেন না। চালকের পরিচয়পত্র ও ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি যাচাই করা ছাড়া চালককে গাড়ি দেবেন না। ১৮ বছরের কম বয়সি চালক দ্বারা গাড়ি চালানো যাবে না। চালকের পাশে ছোট শিশু ও মহিলা নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। চালক হাতে সিগারেট ও সিটে পা তুলে গাড়ি চালানো যাবে না। এই নির্দেশ অমান্য কারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজ বলেন, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর পাশে কেউ না কেউ দাড়িয়ে দায়িত্ব নিতে হবে তাহলে চট্টগ্রাম শহরের রাস্তাঘাট হবে যানজটমুক্ত পরিবেশ হবে সুন্দর। এই মহতি কাজে মানবাধিকার সংস্থা ও স্থানিয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং নির্দিষ্ট এরিয়ার গলি ও উপ-সড়ক হতে হয়রানি মূলক গাড়ি জব্দ করা যাবে না।
এসময় সালামত আলী পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অন্যায়কারির পক্ষে আমরা নয় তবে জব্দকৃত গাড়ির জরিমানা ৩২৫০/= টাকা হইতে ৭৫০/= টাকা করতে হবে। জব্দকৃত গাড়ি ২১ দিনের পরিবর্তে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মালিকের হাতে গাড়ি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হল। অন্য তাই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আর আইন অমান্যকারী চালকের বিরুদ্ধে যেন যতাযত বিহীত ব্যাবস্থা নেওয়া হয় তাহলে চালকগণ অন্যায় থেকে দূরে সরে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এম এ সাইদ, বলেন যন্ত্র তন্ত্র যেখানে সেখানে গাড়ি তৈরী কারখানা রাখা যাবে না অবৈধ কারখানা বন্ধ করতে হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আনিসুর রহমান এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে এস এম সুমন, আবুল কালাম খান, মাজেদুল হক, দাউদ হায়দার লাবলু, জসিম উদ্দিন, মোঃ ওসমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাঁচলাইশ থানা, বায়েজিদ থানা পূর্বজোন, চান্দগাঁও থানা, চকবাজার থানা, বাকলিয়া থানা, বায়েজিদ থানা পশ্চিম জোন, খুলশী থানা, আকবরশাহ থানা, হালিশর থানা, বন্দর থানার, নেতৃবৃন্দ। এতে সবাই একযোগে উক্ত গাড়ির শৃঙ্খলা ও অনুমোদনের জন্য মেয়রের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।