তারাকান্দায় মহিলা সদস্য হাসনা কর্তৃক প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ
মোঃ সোহেল মিয়া, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:-
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ৩নং-কাকনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা সদস্য হাসনা আক্তার বেবী’র বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতাসহ মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক ইউপি সদস্য হাসনা আক্তার বেবী বিভিন্ন ওয়ার্ডের বহু মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। যে কোন সরকারি কার্ডের ব্যপারে কথা উঠলেই ১-২ হাজার টাকা ছাড়া এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেই চাইতেন না কারো সাথে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,ভুক্তভোগী বাগুন্দা পূর্বপাড়া গ্রামের নবী হোসেন খাঁন সাংবাদিকদের বলেন ১৬ হাজার টাকার বয়স্ক ভাতা আত্মসাৎ করার পর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে এর সত্যতাও পান তিনি । এই ধরণের ভুক্তভোগী রয়েছন আজীম উদ্দিন, ফুলবানু, ফিরোজারমত আনেকেই।
কাকনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বাগুন্দা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়ালের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড করেন কিন্তু সে কার্ডের ভিতরে ভুক্তভোগীর মোবাইল নাম্বার না দিয়ে দিয়েছেন ইউপি সদস্য হাসনা আক্তার বেবীর সুবিধা গ্রহণযোগ্য নাম্বার।
সেই কার্ডে টাকা তুলতেন ইউপি সদস্য নিজেই কিন্তুু সে সাময়িক সময়ে তালিকায় থাকা তার নাম প্রকাশ পাওয়ায় চালাকি করে ইউপি সদস্য হাসনা আক্তার বেবী নিজ নাম্বার পরিবর্তন করে এখন দিয়েছেন ভুক্তভোগী আওয়াল মিয়ার নাম্বার।
চৌকিদারি চাকুরী নামে বাগুন্দা গ্রামের মানিক মিয়া নামক এক যুবকের কাছ থেকে চাকুরী দেওয়ার নামে এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এর ছত্রছায়ায় থেকে সে সময় দেখিয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নোংরা আধিপত্য বিস্তারের কারণে ভয়ে মুখ খুলেনি হাজারও অভিযোগকারী।
সে সময় আ’লীগ রাজত্বের রাজার ভূমিকায় থাকায় হাসনা আক্তার বেবী’র বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ।
স্থানীয়রা জানান সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত ভাবে এ অভিযোগ করেছেন হাজারও ভুক্তভোগীরা। কিন্তু সে সময় সাধারণ মানুষের অভিযোগ আমলে নেন নি প্রশাসকসহ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সমাজ সেবা অধিদপ্তরে দায়িত্বে থাকা ঐ সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল বহুবার।
ঐ ১,২,৩ নং ওয়ার্ড গুলির বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ইতোপূর্বে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। আর এই কাজটা করেছেন হাসনা আক্তার বেবী সরকারি অফিসারকে আতাত করে।
ঐ সব বইগুলি তিনটি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসনা আক্তার বেবী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর করে উত্তোলন করেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীদের অজান্তে পুরো টাকাই উত্তোলন করতেন ব্যাংক থেকে সাবেক ইউপি সদস্য হাসনা আক্তার বেবী সবাইকে আতাত করে।
আল্লাহর ঘর মসজিদকে কে-না ভয় পায় কিন্তু সাবেক ইউপি মহিলা মেম্বার হাসনা আক্তার বেবী মসজিদের টাকাগুলিও আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায় ভুয়া মসজিদের কমিটি দেখিয়ে জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে মসজিদের প্রকল্প দেখিয়ে দুই লক্ষ টাকা বিল করে ছিলেন হাসনা আক্তার বেবী। এই বিষয়ে মোঠু ফোনের মাধ্যমে কথা বলে জানা যায় দুই লক্ষ টাকা বিল পাশ করাতে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলেন ।
মসজিদ কমিটির সভাপতি সোহেল মাষ্টার বলেন প্রথম কিস্তির এক লক্ষ টাকা সরকারী ভেট বাদে ৮৯,৫০০/- টাকা উত্তোলন করে মসজিদের জন্য এক টাকাও উন্নয়নে খরচ করে নি হাসনা আক্তার বেবী। যা জেলা পরিষদ হতে তদন্ত আসা অফিসারগণ জানতে পারেন এলাকাবাসী। দ্বিতীয় কিস্তিতে বিলটি তুলতে জেলা পরিষদের ফাইল প্রসেসিং চলছে। এই খবর এলাকা বাসী জানতে পেরে ক্ষুব্ধ মনভাব প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
সব কিছু জানার পর ও ৫ই আগষ্টের পর এক ফ্যাসিবাদ বিদায় হতে-ই আরেক ফ্যাসিবাদের জন্ম দিতে এখনো কিছু সরকারি কর্মকর্তা ২য় কিস্তি র এক লক্ষ টাকা তুলে নিজেদের পকেট ভারি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক তথা উপজেলা প্রাশাসক অবশ্য যেন আইনগত ব্যবস্থা নিবেন এমনটায় প্রত্যাশা করছেন স্হানীয় জনগণ। আর কোন মসজিদের টাকা যেন এই আত্মসাৎ না করতে পারে ভবিষ্যতে তা খতিয়ে দেখতে হবে।