কাপ্তাই মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন
স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক চার লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। আজ ১২ মে সোমবার সকাল ১১টায় নগরের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৬৩ সালে স্থাপিত চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়ক দেশের অন্যতম আধুনিক সড়ক। একমাত্র কাপ্তাই সড়ক স্থাপনকালে গুরুত্ব বিবেচনায় এই সড়কের উভয় দিক ৩০/৪০ ফুট ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে স্থাপনের ৫৫ বছর অতিবাহিত হলেও সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণে কোটি কোটি টাকা নয় ছয় করা যাবে না বলে বিগত সরকার এই সড়কের উন্নয়ন করেনি। ভূমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম রাঙামাটি চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে ভূমি অধিগ্রহণ থাকা সত্ত্বেও সড়কটির উন্নয়ন করা হয়নি।
তারা বলেন, সম্প্রতি ৫০ কোটি টাকা দিয়ে উভয় দিকে পাঁচ থেকে সাত ফুট বড় করা হচ্ছে। যা সড়ক ব্যবহারকারীদের কোন কাজে আসবে না। তাই অচিরেই এই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়। দাবি মেনে না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন তারা।
বক্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কটি একটি মহাব্যস্ত সড়ক। ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি ৯০ লক্ষাধিক জনগণ এই সড়ক ব্যবহার করে। এই সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের সঙ্গে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, কাপ্তাই, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির সঙ্গে যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সড়কটি উন্নয়নের জন্য বর্তমানে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা জনগণের কোন উপকারে আসবে না।
মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপি আহবায়ক অধ্যাপক কুতব উদ্দিন বাহার, চট্টগ্রাম সড়ক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক হাজী হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়ার শাখার সাধাণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহন করেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়া শাখা, চট্টগ্রাম সড়ক উন্নয়ন কমিটি, সড়ক উন্নয়ন কমিটি ইউনিট ৪, সড়ক উন্নয়ন কমিটি ইউনিট ৩, সড়ক উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি, কাপ্তাই সড়ক উন্নয়ন কমিটি পোমরা ইউনিয়ন শাখা, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন।