মির্জাপুর সরকারি কলেজের নাম ব্যবহার করে চলছে অশ্লীল ভিডিও ছবি সহ নানান ধরনের কনটেন্ট
মো. আবুসালেহ (সজীব) টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজের নাম ব্যবহার করে একটি ফেসবুক পেজে ধারাবাহিকভাবে অশ্লীল কনটেন্ট (স্টোরি ও পোস্ট) ছড়ানো হচ্ছে। পেজটিতে রয়েছে প্রায় ১২ হাজার লাইক ও ১০ হাজার ফলোয়ার। যদিও পেজের বর্ণনায় ‘আনঅফিসিয়াল পেইজ’ উল্লেখ রয়েছে, তবে এটি দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
কে বা কারা এই পেজটি পরিচালনা করছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ইতিমধ্যে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আলোচিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলে কলেজের সুনাম ও ভাবমূর্তিতে নেমে এসেছে কালো ছায়া।
মির্জাপুর কলেজের কয়েকজন প্রভাষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটির পরিচয় ও নাম পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর কলেজটি ১৯৭০ সালে মির্জাপুর মহা কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ এবং ২০১৮ সালে মির্জাপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নামে নামকরণ করা হয়। এখন বর্তমানে কলেজটি শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই ঐতিহাসিক ও সুনামধন্য কলেজের নাম ব্যবহার করে এমন অনৈতিক কাজ চরম নিন্দনীয়, বলছে এলাকাবাসী।
এই কলেজের নামের সঙ্গে কুমুদিনী পরিবারের ঐতিহ্য জড়িত। কুমুদিনী হাসপাতালের অপারেশন ম্যানেজার অনিমেষ ভৌমিক লিটন বলেন, ‘কলেজটির সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠান সরাসরি জড়িত। তাই ফেসবুকে এমন কর্মকাণ্ড দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল গণি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি আমাদের অফিসিয়াল আইডি নয়। আগামীকাল কলেজ মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল পেজটি আলাদা, এটি বাইরের কেউ চালাচ্ছে।’
এদিকে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার পরও কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। আজ পর্যন্ত ওই পেজটি ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।