রংপুরে এনসিপিতে পদ বাগিয়ে নিলেন আ.লীগ নেতা স্বাধীন

রংপুরে এনসিপিতে পদ বাগিয়ে নিলেন আ.লীগ নেতা স্বাধীন

রংপুরে এনসিপিতে পদ বাগিয়ে নিলেন আ.লীগ নেতা স্বাধীন

ক্রাইম রিপোর্টারঃ রংপুরের সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন স্বাধীনকে স্থান দেওয়া হয়েছে এনসিপিতে। তাকে এনসিপি’র সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে। স্বাধীন জুলাই গণহত্যা তিন মামলার আসামী এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস- চেয়ারম্যান ছিলেন। গত সোমবার এনসিপির সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী তওহিদ হোসেন সাদ্দাম ও ১ নং যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমঙ্গীর হোসেন স্বারক্ষিত পত্রে তাকে এনসিপির নেতা করা হয়। এ ঘটনায় রংপুর জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

জানা যায়, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দমন নিপীড়নে কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন স্বাধীন অস্ত্র ও অর্থযোগান দিতেন। গত বছরের ৫ আগষ্ট আ.লীগ সরকারের পতন হলে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি মামলা থেকে বাঁচতে বিপুল অর্থের বিনিময় কতিপয় এনসিপির নেতাদের ম্যানেজ করে সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন।এ বিষয়ে এনসিপির সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী তওহিদ হোসেন সাদ্দাম বলেন, স্বাধীন আ.লীগ করতেন এটা সত্য, তবে তিনি ২০২০ সালে আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার হন। জুলাই আন্দোলনের সময়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে তার ভুমিকা ছিল অন্যরকম। তার মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মামলাগুলো করেছেন। এনসিপি’র রংপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, স্বাধীনের বিষয়ে আমরা খোঁজ করেছি। তাকে ২০২০ সালে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি ২০২৪ সালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গালিব বলেন, ২০২০ সালের পর স্বাধীন আর আওয়ামীলীগের কোনো পদে ছিলেন না। তিনি জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছেন এবং মাঠে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জুলাই বিরোধীতার কোন প্রমাণ আমরা পাইনি। এরপরও যদি তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন স্বাধীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।