খাজরা জামায়াতের যুব বিভাগের সেক্রেটারির বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার সহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান।। আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সেক্রেটারির বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চোর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ অনুঃ ১লক্ষ ৩৩ হাজার ৬ শত টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার খাজারা ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সেক্রেটারি ও চেওটিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আব্দুল সাদেক গত ১৫ আগস্ট সকালে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে স্বপরিবারে ডাক্তার দেখানোর জন্য খুলনায় যায়। ২৩ আগস্ট সকালে বাড়ী ফিরে এসে ঘরের দরজার তালা খুলে রুমের ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় জিনিসপত্র এলোমেলো ভাবে ছড়ানো এবং দক্ষিণ পাশের দেওয়ালের ইট খোলা। তখন বুঝতে পারে তার ঘরে চুরি হয়েছে। চোর ঘরে থাকা কাঠের সোকেচের ড্রয়ার খুলে ড্রয়ারে থাকা প্লাষ্টিকের কৌটায় রক্ষিত ছোট বড় অনুঃ ০৮ আনা ওজনের তিনটি স্বর্ণের আংটি,০৪ আনা ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের দুল,২ হাজার টাকা মূল্যের ১টি স্বর্ণের নাকফুল এবং ১০ হাজার টাকা মূল্যের একটি সোলারের ব্যাটারী এবং সোকেচের ভিতরে কাপড়ের ভাজে থাকা ১হাজার ৬ শত টাকা নিয়ে গেছে। ১৫ আগস্ট সকাল অনুঃ ৭ টার পর হইতে ২৩ আগস্ট সকাল অনুঃ ১০টার মধ্যে যেকোন সময় বসত বিল্ডিং এর পিছনের দেওয়ালের ইট খুলে কৌশলে রুমের মধ্যে প্রবেশ করে উল্লেখিত মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আব্দুল সাদেক জানান,চেওঠিয়া গ্রামের খোকন সরদারের ছেলে তৈবুর ইসলাম একজন পেশাদার চোর। এলাকার বিভিন্ন লোকজনের দোকানপাট ও বসত বাড়ী হতে দীর্ঘদিন যাবত সে চুরি করে আসিতেছে বলে জনশ্রুতি আছে। তৈবুর আমার বাড়ির মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে।
আমি তাৎক্ষণিক ভাবে সাক্ষীসহ গ্রাম পুলিশ সামছুর শেখ ও গ্রামের কয়েকজনসহ তৈবুরের বাড়ীতে বিষয়টি @জানার জন্য গেলে সবাইকে দেখে তৈবুর দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ সামসুল আরেফিন জানান,চুরির ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচেতন এলাকাবাসী পেশাদার চোর তৈবুরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##