কলিমুল্লাহ’র শিষ্য ক্রাইম পেট্টোল মিজানের ক্রাইমের সাম্রাজ্য
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুনী হাসিনা সিন্ডিকেটের উচ্চ শিক্ষিত দুর্নীতিবাজ প্রফেসর ডক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ক্রাইম পেট্টোল নিউজ ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রধান উপদেষ্টা, আবার আরো উপদেষ্টা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ন-সচিব (অব) মো মিজানুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) আব্দুল হামিদ, মেজর (অব) মো মাহবুবুল আলম ও মেজর (অব) মোহাম্মদ সাঈদ। আর এসব দুর্নীতিবাজদের মাথার উপরে রেখে ক্রাইম পেট্টোল নিউজ ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রকাশক-সম্পাদক ও একটি মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যানের সাইনবোর্ড ব্যবহান করেন বিশ্বপ্রতারক মো: মিজানুর রহমান (এম এ, এল এল বি)।
খুনি হাসিনার ১৫ বছরে মানুষের সাথে প্রতারনা করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুগ্ন-সচিব (অব) মো মিজানুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনে চাকুরী করতেন। নামের সাথে নামের মিল থাকায় এই মিজানুরের পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে সেও নিজেকে দুদকের সচিব বলে পরিচয় দিয়ে মানুষকে বোকা বানাতেন। প্রতারক মিজানের বিরুদ্ধে জিহাদ নামে এক যুকবকের দুর্নীতির মামলা দুদক থেকে সমাধান করে দেয়ার ফাঁদে ফেলে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল-জালিয়াতি করে দুদকের নোটিশ বানিয়ে জিহাদের হাতে ধরিয়ে দেয় এই মিজান। আর চিঠি হাতে নিয়ে আসল দুদকের জালে গ্রেপ্তার হয়ে ৬মাস জেলখেটে জামিনে মুক্তি পায় জিহাদের ছোট বোন খায়রুন নেছা ও তার স্বামী একেএম ফজলুল হক।
পিনাকি ভট্টাচার্য্যরে ভাষায় দালালের পরিবর্তে ল্যাসপেন্সার শব্দটি এদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনার ল্যাসপেন্সার বাহিনীর টপ ফিফটি ল্যাসপেন্সারের মধ্যে প্রফেসর কলিমুল্লাহ অন্যতম। আর এই কলিমুল্লাহ’র শিষ্য/ছাত্র বিশ্বপ্রতারক মো: মিজানুর রহমান। এই মিজানের প্রতারনার ফাঁদ নিয়ে অনুসন্ধানের একটি অংশে ক্রাইম পেট্টোল নিউজ ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাইটটি একবার ভিজিট করলেই ফিফটি পার্সেন্ট প্রতারনার তথ্য হাতের কাছ পাওয়া যাবে। তিনি ইন্ডিয়ান ক্রাইম পেট্টোল অনুষ্ঠানের নামটি নকল করে ক্রাইম পেট্টোল নিউজ ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বানিয়ে প্রতারনার মাঠে নেমেছেন। একজন সৎ সাংবাদিক বা সম্পাদকের টিভি/পত্রিকা বা ওয়েবসাইটের সম্পাদকীয় প্যানেলে এতো গুলো উপদেষ্টার নাম একসাথে খুজে পাওয়া যায় না। তবে মিজানের ওয়েব সাইটে এতো উপদেষ্টা কেন। ডাল মে কুচ কালা হে।
আবার কলিমুল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) আব্দুল হামিদ, মেজর (অব) মো মাহবুবুল আলম ও মেজর (অব) মোহাম্মদ সাঈদ এরাইবা মিজানের উপদেষ্টা কেন। সুত্র জানায়, মিজানের দরবারে নারীদের আনাগোনা বেশী। মিজান এদেরকে নারী সাপ্লাই দিয়ে হাতে রেখে ছিলেন। এদের সাথে ছবি তুলে প্রতারনা কাজে ব্যবহার করতেন। তিনি মক্কেল সাথে নিয়ে ভিআইপি হোটেল রেস্টুরেন্ট গিয়ে এসব উপদেষ্টাদের সামনে বসে গভীর বুদ্ধিজীবি ও ব্যাপক ক্ষমতাশালী বনে যেতেন। মক্কেলরা খুব সহজেই তাকে বিশ্বাস করে মোটা অংকের টাকা তার তুলে দিতেন। একসময় কাজের কাজ কিছুই হতো না। আর টাকা ফেরত চাইলেই পেতেন জীবন মরন হুমকি।
ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনার ১৫ বছরের রাজত্বে ল্যাসপেন্সারীতে শীর্ষ ৩টি গ্রুপের মধ্যে গণমাধ্যম একটি অন্যতম শীর্ষ গ্রুপ। আর এই গ্রুপের প্রধান হলো সংগঠন এডিটর্স গিল্ট বাংলাদেশ। এই সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা ল্যাসপেন্সার মতিফুজ, আবেদ খান, নঈম নিজাম, নাইমুল ইসলাম খান, সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা, সুবাস সিংহ রায়, মুন্নী সাহা, স্বদেশ রায়, সুকান্ত গুপ্ত অলক, মোজাবাবু, ইনাম আহমেদ, তোয়াব খান, ড. গোলাম রহমান, তাসমিমা হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, আলতামাস কবীর, মঞ্জুরুল ইসলাম, মোস্তফা খালিদ পলাশ, সাইফুল আলম, শাহজাহান সরদার, তৌফিক ইমরোজ খালিদী, জুলফিকার রাসেল, শোয়েব চৌধুরী, এম শামসুর রহমান, মোল্লা এম আমজাদ হোসেন, নাসিমা খান মন্টি, রেজোয়ানুল হক রাজা, শরিফ সাহাব উদ্দীন, জ ই মামুন, রিয়াজুল বাশার ও আর শ্যামল দত্তদের মতো সাংবাদিক/সম্পাদকরা খুনী হাসিনাকে বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচরী ইন্ডিয়ান শাসন কায়েম করতে মূখ্য ভুমিকা পালন করেছে। আর অন্তরালে ঘুষ ও টেন্ডার বানিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দেশ বিরোধীতা করে বিদেশের মাটিতে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। আর এই বাহিনীর অন্যতম দোসর হলেন ক্রাইম পেট্টোল নিউজ ডটকমের প্রকাশক-সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান।
সুত্র জানায়, এডিটর গিল্ট বাংলাদেশ এর সভাপতি একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু ওরফে মোজাবাবু এর অন্তরঙ্গ বন্ধু হলেন প্রতারক মিজান। মিজান এই সংগঠনের সহ-সভাপতি। এখানো স্বপ্ন দেখেন বুবু আসবে। এই সংগঠনের দেশ বিরোধী এসব সাংবাদিক নেতাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ছবি তুলে মিজান বিভিন্ন সময়ে তা ব্যবহার করে মানুষকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
ভুক্তভোগি জিহাদ অভিযোগ করে বলেন, দুদকে তার বোন খায়রুন নেছা ও তার স্বামী একেএম ফজলুল হকের নামে একটি মামলা ছিলো। তিনি মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য ক্রাইম পেট্টোল নিউজ ডটকমের প্রকাশক সম্পাদক মো: মিজানুর রহমানের খপ্পরে পড়েন। বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার একপর্যায়ে ১৬ লাখ টাকা কন্টাকে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেয়ার কথা বলেন দুদকের সচিব পরিচয় দেয়া এই মিজান। অতপর প্রতারক এই মিজান অন্য কোন একজনের নামের দুদকের মামলা সংক্রান্ত নথি থেকে একটি কপি জালিয়াতি করে তার বোন ও বোন-জামাইয়ের নামে দুদকের নোটিশ বানিয়ে তাকে প্রদান করে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। একপর্যায়ে ঐ নোটিশটি আদালতে দাখিল করলে আদালত তাদেরকে সাথে সাথেই গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। এই ঘটনায় ৬ মাস জেল খেটে তারা শভা জামিনে মুক্ত পায়।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, মিজান প্রতারনার কাজে নারীদের দ্বারা হ্যানিট্যাপ করতেন। প্রতারনা সফল করতে নারী সাপ্লাই দিতেন। ইনভেস্টিগেশনের নামে একটি লাইসেন্স করে বিভিন্ন জায়গায় ধান্দা করতেন। মেহেন্দিগঞ্জে গাগুরিয়া চরের জমি লিজেসুত্রে পাইয়ে দেয়া কথা বলে খেটে খাওয়া মানুষের কাছ থেকে অন্তত ৩কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দুর্নীতিবাজ কুলিমুল্লার সাথে তার ছবি দেখে চরের মানুষ তাকে বিশ্বাস করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ছিলেন। এই চক্রের অপর সদস্যরা হলেন, অহিদুজ্জামান সম্রাট, ফজলু করিম কাজল , নেছার ও হাসান।
এব্যাপারে মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঢাকা ভার্সিটি থেকে আইন পেশায় পাশ করেছি। কলিমুল্লাহ স্যার আমার শিক্ষক। আমি এডিটর গিল্টের সহ-সভাপতি। মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত, সাইফুল ইসলাম এরা বন্ধু মানুষ। আমার বিরুদ্ধে আপনার কাছে কেউ অভিযোগ দিয়েছে। তারা আমাকে টাকা দিয়েছে এর প্রমান কি আছে।